নয়াদিল্লি: ভুয়ো লেটার অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং (এলওইউ)-র মাধ্যমে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ১৪ হাজার কোটি টাকা প্রতারণাকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত মেহুল চোকসির প্রত্যর্পণ নিয়ে জোরকদমে এগোচ্ছে ভারত। সূত্রের খবর, মেহুলের গলায় আইনের ফাঁস ক্রমশ আষ্টে-পৃষ্ঠে বসছে বলে জানা গিয়েছে। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, গায়ানা নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত সম্প্রতি দেখা করেছেন অ্যান্টিগার বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে।
বর্তমানে নাগরিকত্ব নিয়ে আ্যান্টিগায় বসে রয়েছেন মেহুল। সিবিআই-এর পাঠানো প্রত্যর্পণের নোটিসের কপিও এদিন অ্যান্টিগা প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এই নিয়ে গত দেড়মাসে তিনবার মেহুল প্রসঙ্গ নিয়ে অ্যান্টিগা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চালাল ভারত।
বিদেশমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, মেহুলের প্রত্যর্পণের ইস্যুটি খতিয়ে দেখছেন সেদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল ও সলিসিটর জেনারেল। তাঁরা রিপোর্ট দেওয়ার পরই এই বিষয়ে এগোবে অ্যান্টিগা প্রশাসন। এর আগে, অ্যান্টিগার প্রধানমন্ত্রী চোকসিকে ভারতে ফেরত পাঠাতে অস্বীকার করেন। সেই নিয়ে নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশও করেছিল ভারত। এদেশে মেহুল চোকসির যাবতীয় কীর্তিকলাপের খতিয়ান অ্যান্টিগা প্রশাসনের সামনে তুলে ধরতে তদন্তকারী সংস্থা ও বিদেশমন্ত্রককে নির্দেশ দেয় প্রধানমন্ত্রীর দফতর।
প্রসঙ্গত, গতকালই যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করেছেন চোকসি। তিনি জানান, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। দায় চাপালেন ব্যাঙ্কের উপর। ওড়ালেন ভাগ্নে নীরবের সঙ্গে ব্যবসায়ীক সম্পর্কের কথাও। ভিডিওতে তিনি বলেন, মিথ্যে অভিযোগ আনা হচ্ছে। ১৫-১৬ টা এজেন্সি আমার পিছনে রয়েছে, সবাইকে বলা হচ্ছে আমার বিরুদ্ধে কেস করতে। আমার কোম্পানি কোনও প্রতারণা বা দুর্নীতি করেনি। ব্যাঙ্কের দুর্নীতি আমাদের ঘাড়ে চাপানো হয়েছে, আমার সঙ্গে যা করা হচ্ছে তা বেআইনি, মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। তাঁর আরও দাবি, রাজনৈতিক কারণে তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে। বলেন, আমি রাজনৈতিক ষড়য়ন্ত্রের শিকার, এই ভোটে ঋণখেলাপ একটা বড় ইস্যু, কাউকে না ধরলে হয়তো ভোটে সমস্যা হবে, তাই সহজ লক্ষ্য করা হচ্ছে।
যদিও, তদন্তকারী সংস্থাগুলির মতে, পুরোটাই নাটক। তাদের দাবি, অত্যন্ত সুকৌশলে প্রতারণার ষড়যন্ত্র তৈরি করেছেন মেহুল। বিদেশে নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এর জন্য ৩২৫৭ কোটি টাকা পাচার করেছেন তিনি।