নয়াদিল্লি: লোকসভা ভোটের মাত্র কয়েক মাস বাকি থাকতে আনুষ্ঠানিক ভাবে সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশ ঘটল প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর। বুধবার সনিয়া গাঁধীর কন্যাকে বড় দায়িত্ব দিল কংগ্রেস। তাঁকে পূর্ব উত্তরপ্রদেশে দলের সাধারণ সম্পাদক করা হল। উত্তরপ্রদেশের ওই অঞ্চলে কংগ্রেসের সাংগঠনিক ভার, দায়-দায়িত্বও তুলে দেওয়া হয়েছে প্রিয়ঙ্কার হাতে। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই তিনি কাজ শুরু করে দেবেন বলে দলীয় সূত্রে খবর।
ভাই রাহুল গাঁধী ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের সভাপতি। আজ প্রিয়ঙ্কাকে সাধারণ সম্পাদক পদে বসানোয় কংগ্রেসের রাশ সনিয়া পরবর্তী প্রজন্মের হাতে পুরোপুরি তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত রূপ পেল।
আজ প্রিয়ঙ্কার পাশাপাশি পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে। এআইসিসি-র সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অশোক গেহলৌতকে সরিয়ে বসানো হয়েছে কে সি বেনুগোপালকে। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদকে হরিয়ানার ভারপ্রাপ্ত এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
প্রিয়ঙ্কাকে সক্রিয় রাজনীতিতে নামিয়ে সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়োগ করায় উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস জোরদার হবে বলে দাবি মতিলাল নেহরুর মতো প্রবীণ নেতার।
রাজনৈতিক মহলের অনুমান, লোকসভা ভোটে রাজনৈতিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য উত্তরপ্রদেশে দলীয় কর্মীদের মনোবল বাড়াতেই প্রিয়ঙ্কাকে নামানো হল। ৮০টি লোকসভা আসন সেই রাজ্যে। সেখানে দলকে চাঙ্গা করতে কংগ্রেসের ভিতর থেকেই বেশ কিছুদিন ধরেই প্রিয়ঙ্কাকে সক্রিয় রাজনীতিতে নামানোর দাবি উঠছিল।
বর্তমানে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের মাত্র দুটি আসন। রায়বরেলি, অমেঠি। সনিয়া ও রাহুলের কেন্দ্র। এবার সমাজবাদী পার্টি (সপা), বহুজন সমাজ পার্টি (বসপা) কংগ্রেসের জন্য শুধু ওই দুই কেন্দ্র ছেড়ে রেখে বাকি ৭৮টি আসনেই জোট বেঁধে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। পাল্টা কংগ্রেস জানিয়েছে, ৮০টিতেই তারা লড়বে।
২০১৭-র উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে সপার সঙ্গে হাত মেলায় কংগ্রেস। কিন্তু সেই জোট হেরে যায় বিজেপির কাছে। কংগ্রেস ৪০৩ সদস্যের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় মাত্র ৭টি আসন পায়। ২০১৪-র লোকসভা ভোটে বিজেপি একা ৭১টি আসনে জেতে। শরিক আপনা দল পায় ২টি আসন। ৪২ শতাংশ ভোট পায় বিজেপি-এনডিএ।
এই প্রেক্ষাপটে দলের হাল ধরার দায়িত্ব দেওয়া হল প্রিয়ঙ্কাকে।