নয়াদিল্লি: ১০১ তম জন্মদিবসে বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী আন্দোলনের মহান নেতা নেলসন ম্যান্ডেলাকে শ্রদ্ধা জানালেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। প্রয়াত নেতাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ট্যুইটে প্রিয়ঙ্কা লিখেছেন, এখন সারা বিশ্বই নেলসন ম্যান্ডেলার মতো নেতাদের আরও বেশি করে অভাব অনুভব করে। তাঁর জীবনই সত্য, ভালোবাসা ও স্বাধীনতার পরাকাষ্ঠা। আমার কাছে তিনি আঙ্কল নেলসন (যিনি আমাকে বলেছিলেন যে, অন্য কারুর আগে আমার রাজনীতিতে আসা উচিত!)। তিনি সর্বদাই আমার অনুপ্রেরণা ও পথনির্দেশক।
ট্যুইটে দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তী নেতার সঙ্গে নিজের একটি ছবিও পোস্ট করেছেন প্রিয়ঙ্কা। ছবিতে, প্রিয়ঙ্কার ছেলেকে ধরে ম্যান্ডেলাকে হাসতে দেখা যাচ্ছে।





পরের ট্যুইটে প্রিয়ঙ্কা লিখেছেন, ২০০১-এ আমার ছেলের অভিনব টুপিটা দেখে খুব হাসছেন।



১৮ জুলাই দিনটি সারা বিশ্বে নেলসন ম্যান্ডেলা দিবস হিসেবে পালিত হয়।

বর্ণবিদ্বেষী জমানার অবসান ঘটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বহুজাতিভিত্তিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে পথপ্রদর্শক ছিলেন ম্যান্ডেলা। শান্তি ও সমন্বয়ের আইকন ম্যান্ডেলা সারা বিশ্বের ন্যায়ের দাবিতে সংগ্রামের মূর্ত প্রতীক।
শ্বেতাঙ্গ-আধিপত্যবাদী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য জীবনের দীর্ঘ ২৭ বছর কারান্তরালে কাটাতে হয়েছিল তাঁকে। ১৯৯৪-এ দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম সর্বজাতিভিত্তিক নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন তিনি।
গাঁধীবাদী নীতির অনুগামী ছিলেন ম্যান্ডেলা। এজন্য ভারতের সঙ্গে তাঁর নিবিড় যোগাযোগ ছিল। ১৯৯৫-এ ভারত সফরে এসে ম্যান্ডেলা আহমেদাবাদে বলেছিলেন, দরিদ্রদের জন্য ভালোবাসা, সারল্য ও নৈতিকার যে মান মহাত্মা গাঁধী গড়ে দিয়ে গিয়েছেন, সেখানে আমি কোনওদিন পৌঁছতে পারব না। গাঁধী এমন একজন মানুষ ছিলেন, যাঁর কোনও দুর্বলতা ছিল না। আর আমি একজন ব্যক্তি, যার রয়েছে অনেক দুর্বলতা।
২০১৩-তে ম্যান্ডেলার মৃত্যুর পর ভারত পাঁচদিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করেছিল। দ্বিতীয় বিদেশী হিসেবে ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ভারতরত্ন দেওয়া হয় তাঁকে।