ভুবনেশ্বর: বাচ্চারা বড় হয়ে যাওয়ার পরই বোন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী কংগ্রেসে একটা ভূমিকা পালনের সিদ্ধান্ত নেন, তাঁর রাজনীতিতে প্রবেশ মোটেই কোনও আকস্মিক ব্যাপার নয় বলে জানালেন রাহুল গাঁধী। এখানে আজ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে কংগ্রেস সভাপতি কয়েক বছর আগেই প্রিয়ঙ্কা কবে রাজনীতির মাঠে পা দেবেন, সেই সময় স্থির হয়ে গিয়েছিল বলে জানান। বলেন, বাচ্চাদের বড় করে তোলার জন্যই প্রিয়ঙ্কা রাজনীতিতে যোগদান পিছিয়ে দেয়। এখন ওর সন্তানরা বড় হয়ে গিয়েছে। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকেছে, আরেকজনও প্রাপ্তবয়স্ক। তাই ও রাজনীতিতে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রিয়ঙ্কার ভূমিকা কী হবে, সে ব্যাপারে রাহুল জানান, উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের পুনরুজ্জীবন ঘটানোই হবে তাঁর প্রধান কাজ। রাজ্যের বাইরে তাঁর ভূমিকা নিয়ে কিছু ঠিক হয়নি।
বুধবারই দীর্ঘ জল্পনায় ইতি টেনে কংগ্রেস সনিয়া কন্যাকে পূর্ব উত্তরপ্রদেশের সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ করে লোকসভা ভোটে জাতীয় রাজনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার ইঙ্গিত দিয়েছে।
প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে নিজের গভীর বন্ধনের উল্লেখ করেন রাহুল। ঠাকুমা ইন্দিরা গাঁধী ও বাবা রাজীব গাঁধীর হত্যাকাণ্ড, তার জেরে পরিবারের ভিতরে রাজনৈতিক উত্থানপতন, অস্থিরতার কথা স্মরণ করে রাহুল বলেন, আমাদের দুজনকে একসঙ্গে খারাপ সময়ের সঙ্গে লড়তে হয়েছে। এইসব ঘটনা আমাদের গভীর বন্ধনে বেঁধেছে, কাছাকাছি এনেছে। প্রত্যেকেই হয়তো ভাবেন, আমরা সব কিছু সহজ, সরল ভাবে পেয়েছি। কিন্তু আমরা বেশ কিছু খুব কঠিন পরিস্থিতিতে পড়েছি, যা বন্ধন দৃঢ় করেছে আমাদের। এ প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, আমরা যদি আলাদা ঘরেও বসে থাকি, আর আপনারা আমাদের একই প্রশ্ন করেন, ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রেই একই উত্তর পাবেন।
ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনি ও প্রিয়ঙ্কা পরস্পরকে স্বাধীনতা দেওয়ায় বিশ্বাসী, তাঁদের মধ্যে মতামতের আদানপ্রদান চলে বলে জানান রাহুল। বলেন, প্রচুর কথা হয় আমাদের মধ্যে।