নয়াদিল্লি: ফেসবুক, ট্যুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউবের মতো জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়াগুলি এবার বিদ্বেষমূলক বার্তা, গুজবের মাধ্যমে হিংসা ছড়ানো এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ রোখার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক আধিকারিক আজ এমনই জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব গৌবার নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকারের আধিকারিকদের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিনিধিদের একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকেই গুজব, ভুয়ো খবর ও মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ রোখার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদি কোনও ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্য়মে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে সমাজে উত্তেজনা তৈরি করেন বা পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে যৌন অপরাধে উস্কানি দেন, তাহলে তাঁকে চিহ্নিত করে নাম প্রকাশ করা হবে এবং সাজা দেওয়া হবে।


স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সূত্রে খবর, তথ্য-প্রযুক্তি আইন ও টেলিগ্রাফ আইনে সাজা দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা ছিল। তবে এখন ব্যবস্থা নেওয়ার হার ৬০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৮০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়ার সময়ও ৭২ ঘণ্টা থেকে কমে ২৪ ঘণ্টা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পরেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির জন্য কাজ করছে সোশ্যাল মিডিয়াগুলি।

এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করেছিল, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিদ্বেষমূলক বার্তা, হিংসায় উস্কানি দেওয়ার জন্য গুজব এবং মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংক্রান্ত বিষয়বস্তু সরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে দ্রুততা দেখা যাচ্ছে না। সাম্প্রতিক অতীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোস্টের ফলে হিংসা ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ। সেই কারণেই নড়েচড়ে বসেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।