নয়াদিল্লি: পেট্রপণ্যের চড়া মূল্যবৃদ্ধির ফলে অতিষ্ঠ মানুষের দুর্ভোগের প্রেক্ষিতে কংগ্রেস ও বিরোধীদের তোপের মুখে বিজেপি। কংগ্রেস ও বামপন্থী দল সমেত নানা বিরোধী দলের ডাকে ভারত বনধ পালিত হচ্ছে সোমবার। তবে পাল্টা আসরে নেমেছে বিজেপিও। তারা কংগ্রেস, বিরোধীদের কটাক্ষের পাশাপাশি সাফাই দিচ্ছে, মানুষের এই দুর্ভোগ সাময়িক, এর কারণ আন্তর্জাতিক নানা ফ্যাক্টর।
এহেন ব্যাখ্যা দিয়ে আজকের বনধে মানুষের সমর্থন না পেয়ে কংগ্রেস গুন্ডামি, হিংসার রাস্তা ধরেছে বলে অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, তেলের দাম বাড়ছে সরবরাহ কম হওয়ার ফলে। আমরা মানুষের উদ্বেগ, অসুবিধার সময় তাঁদের পাশেই রয়েছি। কিন্তু এটা এমন সমস্যা যার সমাধান আমাদের হাতে নেই।
কেন্দ্রের মোদী সরকার মুদ্রাস্ফীতি কমাতে অনেক কিছু করেছে, সফলও হয়েছে বলে দাবি করে রবিশঙ্কর পরিসংখ্যান পেশ করেন, ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ইউপিএ আমলে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ১০.৪ শতাংশ, আর বর্তমানে ৪.৭ শতাংশ।
রবিশঙ্কর বলেন, পেট্রলের দাম কম হওয়া উচিত এবং আমরা দাম কমানোর উপায় খুঁজে বের করব। পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি আমাদের হাতের বাইরে। ওপেক দেশগুলি উত্পাদনের মাত্রা বেঁধে দিয়েছে। ভেনেজুয়েলায় অস্থিরতা রয়েছে। আমেরিকায় এখনও শেল গ্যাসের উত্পাদন শুরু হয়নি। ইরানের বিরুদ্ধে আমেরিকা বিধিনিষেধ জারি করেছে। সব কারণ মিলিয়ে উত্পাদন ঘাটতি তৈরি হয়েছে। আমরা তেল সঞ্চয় করছি না। জনগণের পাশেই আছি আমরা। আমাদের জমানায় পেট্রলের দাম কমেছে, আবার বেড়েছেও। এই সমস্যার সুরাহা আমাদের হাতে নেই।
বিরোধীদের আক্রমণ করে তিনি বিহারে বনধের সময় হিংসার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ভারত বনধের নামে পেট্রল পাম্পে আগুন ধরানো হয়েছে। গাড়িতে হামলা চলেছে। কংগ্রেস জবাব দিক, এই হিংসার দায় কার?