গত মাসেই জানা গিয়েছিল, নতুন মোড়কে ভারতে ফিরতে চলেছে অত্যন্ত জনপ্রিয় মোবাইল গেম পাবজি। জানা গিয়েছিল চিনা নিয়ন্ত্রণ মুক্ত হয়ে পাবজি মোবাইল ইন্ডিয়া নামে নতুন করে ভারতের মাটিতে যাত্রা শুরু করবে এই মোবাইল গেম। রয়্যাল ব্যাটল গেম- প্রত্যাবর্তনের কোনও দিনক্ষণ যদিও সেবার জানানো হয়নি। কিন্তু পাবজি গেম ফেরার খবর শুনেই বিরোধীরা আপত্তি জানিয়েছিল। কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছিল যে, নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে পাবজি গেম নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, কয়েক মাসের মধ্যে পরিস্থিতির কী এমন পরিবর্তন হল যে ভারতে তাকে ফিরে আসার ছাড়পত্র দিতে চলেছে মোদি সরকার। এরপরে সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল শুধু নথিভুক্তকরণের কাজ এগিয়েছে মাত্র।
সূত্রের খবর, চলতি বছরে ভারতে ফিরছে না মোবাইল গেম পাবজি। ফলে ক্রিসমাস, নিউ ইয়ারের মতো অনুষ্ঠানেও রয়্যাল ব্যাটল গেম ছাড়াই থাকতে হবে গেম-প্রেমীদের। এমনকি ভ্যালেটাইনসে ডে-ও পাবজি ছাড়া কাটাতে হবে বলে জানা যাচ্ছে। সূত্রের খবর, ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়ে পাবজি মোবাইল গেমের কর্তারা একাধিকবার সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু সংস্থার কর্তাদের বারংবার আবেদন সত্ত্বেও মন্ত্রকের তরফে তাদের কোনও সময় দেওয়া হয়নি। এর আগে জানা গিয়েছিল ১৪ নভেম্বর ভারতে ফিরে আসতে চলেছে পাবজি। উৎসাহ-উদ্দীপনার অন্ত ছিল না পাবজি প্রেমীদের মধ্যেও। ক্রিসমাসে বরফের রাজ্যে হারিয়ে যাওয়া, বা ভ্যালেনটাইনস ডে-তেও নতুন নানান পরিকল্পনা করে ফেলেছিলেন অনেকেই। কিন্তু গেম-প্রেমীদের সে সব পরিকল্পনা এখন ভেস্তে গিয়েছে। পাবজি-র জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও খানিকটা সময়।
লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় চিনের আগ্রাসী পদক্ষেপের বিরোধিতায় সাইবার নিরাপত্তা, দেশের সার্বভৌমত্ব সুনিশ্চিত করতে চেয়ে সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে ১১৭টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ্ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। টিকটক, পাবজি-সহ আরও কয়েকটি অ্যাপ ছিল সেই তালিকায়। অ্যাপটির ডেভেলপার দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা পাবজি কর্পোরেশন হলেও ভারতে সেটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিল চিনা সংস্থা টেনসেন্ট গেমস।
কিছুদিন আগে ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক সূত্রে জানা যায়, পাবজিকে ভারতে কাজ শুরু করার অনুমতি এখনও দেওয়া হয়নি। মন্ত্রক সূত্রে বলা হয়, ‘ভারতে কোনও নিষিদ্ধ কোম্পানি নতুন কোনও সংস্থা তৈরি করে এলেই যে কাজ শুরু হবে, তা কিন্তু নয়। সেটা টিক টক বা যে কোনও সংস্থা করতে পারে। কিন্তু ভারতের বাজারে ফিরতে হলে তাদের ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের অনুমতি লাগবে।’