সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, মন্ত্রী অবশ্য বাস ও গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা, হ্যান্ড ওয়াশ, স্যানিটাইজার ব্যবহার ও ফেসমাস্ক পরার মতো সুরক্ষা মেনে চলতে হবে বলে সাবধান করে দিয়েছেন।
ভিডিও কনফারেন্সিং মারফত বাস অ্যান্ড কার অপারেটর্স কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ার সদস্যদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, গণ পরিবহণ শীঘ্রই চালু হতে পারে। কিছু গাইডলাইন থাকবে। গণপরিবহণ ও জাতীয় সড়কে যানবাহন চলাচল ফের শুরু করা জনসাধারণের মনে ভরসা ফেরাতে বড় ভূমিকা নেবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, দেশের যেসব এলাকায় কোভিড-১৯ সংক্রমণের খবর নেই, সেখানে অর্থাত্ গ্রিন জোনে ইতিমধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের সুবিধায় বেশ কিছু নিয়মবিধি শিথিল করেছে, ছাড় দিয়েছে সরকার। কিছু রাজ্য সরকার কয়েকটি শিল্পে কাজকর্ম ফের চালু করা, স্ট্যান্ডঅ্যালোন দোকানপাট খোলার অনুমতি দিয়েছে। দিল্লিতে স্ট্যান্ডঅ্যালোন দোকানপাট খোলা, ৩৩ শতাংশ কর্মী নিয়ে বেসরকারি অফিস খোলা, বাড়ির কাজের লোক, টেকনিশিয়ান সমেত স্বউপার্জন করা লোকজনকে ফের কাজকর্ম শুরু করার অনুমতি দিয়েছে কেজরিবাল সরকার। কিন্তু কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি রাস্তায় নামলেও গণ পরিবহণের যানবাহন না থাকায় বহু মানুষ ফের কাজে যেতে পারছেন না। কোভিড-১৯ অতিমারীর ধাক্কা সামলে অর্থনীতি সচল রাখার লক্ষ্যে লাগাতার চেষ্টা করে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে তিনি সবসময় যোগাযোগ রাখছেন বলেও জানান গডকরী।
গণ পরিবহণ শিল্পকে বেইল আউট করার দাবি নিয়ে তিনি বলেন, সরকার ওদের সমস্যা নিয়ে পুরো মাত্রায় ওয়াকিবহাল, তা দূর করতে সাহায্য করবে।
বৃহত্তর বিশ্ব বাজার দখল করে করোনাভাইরাসের ফলে উদ্ভূত সঙ্কটকে সুযোগ, সম্ভাবনায় বদলে দেওয়ার জন্য বিনিয়োগকারী ও শিল্প মহলকে আহ্বান জানান গডকরী। বলেন, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে অর্থনীতি সঙ্কটে পড়েছে। আমাদের এটাকে সঙ্কটের আড়ালে আশীর্বাদ হিসাবে দেখা উচিত, কেননা কেউ চিনের সঙ্গে লেনাদেনা করতে চাইছে না, জাপানের প্রধানমন্ত্রী দেশের শিল্পকে চিনের বাইরে বিনিয়োগ করতে বলছেন, এটা ভারতের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার সুযোগ।