পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে গত বৃহস্পতিবারের আইইডি বিস্ফোরণে অন্তত ৪০ জওয়ানের প্রাণহানির পর বিরূপ প্রতিক্রিয়া হয়েছে, কাশ্মীরী ছাত্ররা যার নিশানা হয়েছেন বলে অভিযোগ। ওই নাশকতার দায় নিয়েছে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জয়েশ-ই-মহম্মদ সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী। কিন্তু পুলওয়ামার হামলাকে সমর্থনের অভিযোগে নানা শহরে পড়াশোনার সূত্রে যাওয়া কাশ্মীরী ছাত্রদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলা দায়ের হয়েছে। দেহরাদুনের দুটি কলেজ কাশ্মীরী ছাত্রদের পরবর্তী শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তি নেবে না বলে জানিয়েছে। উপত্যকা থেকে আসা পড়ুয়ারা পুলওয়ামার ঘটনার পর থেকে ভীত, সন্ত্রস্ত বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু জাভারেকর বলেছেন, কাশ্মীরী ছাত্ররা বিপদে পড়েছেন বলে দেখানো হচ্ছে। কিন্তু মোটেই তা ঠিক নয়। পুলওয়ামা হামলার জন্য দেশবাসী ক্ষুব্ধ বটে, কিন্তু সেজন্য কোনও কাশ্মীরী পড়ুয়ার ওপর আক্রমণ হয়নি।
জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসন সোমবার রাজ্যের বাইরে থাকা পড়ুয়াদের গুজবে কান না দেওয়ার, যে যেখানে আছে, সেখানেই থাকার চেষ্টা করার পরামর্শ দিয়েছে।
শনিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সব রাজ্য, কেন্দ্রশাসিত এলাকাকে কাশ্মীরীদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিতে বলেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ তার আগে সর্বদল বৈঠকে আশ্বাস দেন, পুলওয়ামা সন্ত্রাসের পর কাশ্মীরী ছাত্র ও যাদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, তাদের সবার সুরক্ষায় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।