চণ্ডীগড়: পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন করার জন্য শহিদ পরিবারগুলির কাছে দুঃখপ্রকাশ করুন নভজ্যোত সিংহ সিধু। এমনই পরামর্শ দিলেন পঞ্জাবের মন্ত্রিসভায় তাঁর সতীর্থ ত্রিপাট রাজিন্দর সিংহ বাজওয়া। তিনি বলেছেন, ‘সিধু সাহেব আমার সিনিয়র সহকর্মী। আমি তাঁকে কোনওরকম নির্দেশ দিতে পারি না। আমি শুধু তাঁকে পরামর্শ দিতে পারি, যে শহিদ পরিবারগুলি তাঁর পাকিস্তানের সেনাপ্রধানকে আলিঙ্গন করা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন, তাঁদের কাছে গিয়ে তিনি দুঃখপ্রকাশ করুন। আমার মনে হয় দুঃখপ্রকাশ করলে কোনও ক্ষতি হয় না। তিনি (সিধু) একজন অসাধারণ মানুষ এবং সিনিয়র মন্ত্রী।’ বাজওয়া অবশ্য সিধুর পাকিস্তানে যাওয়ার বিপক্ষে নন। তাঁর মতে, একজন বন্ধুর আমন্ত্রণে ইসলামাবাদে গিয়ে কোনও অপরাধ করেননি সিধু।


ইমরান খানের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে গিয়ে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের প্রেসিডেন্ট মাসুদ খানের পাশে বসেন সিধু। তিনি পাক সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়াকে আলিঙ্গন করেন। এর জন্য তাঁর তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংহও বলেছেন, সিধুর এই আচরণ তিনি মেনে নিতে পারছেন না। তিনি এই সহকর্মীর সমালোচনা করে বলেছেন, ‘পাকিস্তানের সেনাপ্রধানের প্রতি প্রীতি দেখিয়ে ঠিক করেননি তিনি (সিধু)। আমি এটা সমর্থন করতে পারছি না। তাঁর বোঝা উচিত, প্রতিদিন আমাদের সেনা জওয়ানদের হত্যা করা হচ্ছে। কয়েকমাস আগে আমার নিজের রেজিমেন্টের একজন মেজর ও দু’জন জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে।’

পঞ্জাবের কংগ্রেস সভাপতি সুনীল জাখর অবশ্য এই বিতর্কে সিধুর পাশেই দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘এই বিতর্ক তৈরি করা হয়েছে। কোনও ব্যক্তির বিষয়ে কথা না বলে ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা উচিত। ইস্যুটি হল ঐতিহাসিক গুরুদ্বারা কর্তাপুর সাহিব যাওয়ার পথ খোলা। পাকিস্তানে গিয়ে এই ইস্যুটি তোলেন সিধু।’