পটনা: বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীর বিরুদ্ধে নিগ্রহের অভিযোগ আনলেন পুত্রবধূ ঐশ্বর্য রাই। তাঁর দাবি, চুলের মুঠি টেনে ধরে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন রাবড়ি দেবী। সচিবালয় থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন ঐশ্বর্য। তাঁর শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করার জন্য স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। রাবড়ি দেবীর ছোট ছেলে তেজস্বী প্রসাদ যাদবের পাল্টা দাবি, আসল বিষয়গুলি থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য এই পরিকল্পনা করেছে বিরোধীরা।


২০১৮ সালের মে মাসে রাবড়ি দেবী ও লালুপ্রসাদ যাদবের বড় ছেলে তেজপ্রতাপ যাদবের সঙ্গে বিয়ে হয় আরজেডি বিধায়ক চন্দ্রিকা রাইয়ের মেয়ে ঐশ্বর্যর। তবে বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই শুরু হয় সমস্যা। বাপের বাড়ি ফিরে যান ঐশ্বর্য। ২০১৮ সালের নভেম্বরে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের হয়। সেই মামলা এখনও চলছে। এরই মধ্যে গতকাল বিকেলে রাবড়ি দেবীর বাসভবনে যান ঐশ্বর্য। সেখানেই শুরু হয় গোলমাল। ছুটে যান চন্দ্রিকা। সন্ধে ৬টা নাগাদ রাবড়ি দেবীর বাংলো থেকে বেরিয়ে ঐশ্বর্য অভিযোগ করেন, ‘রাবড়ি দেবী আমার চুলের মুঠি ধরে মারধর করেন। এরপর তাঁদের দেহরক্ষীরা আমাকে ১০ সার্কুলার রোডের বাড়ি থেকে বের করে দেন। বি এন কলেজে আমার বাবার নামে অশ্লীল পোস্টার কেন লাগানো হয়েছে, রাবড়ি দেবীকে এই প্রশ্ন করতেই তিনি আমার চুল টেনে ধরেন। আমি যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকি। এরপর নিরাপত্তারক্ষীরা আমাকে বের করে দেন। আমি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দারোগা রাইয়ের নাতনি। আমার সঙ্গে কী আচরণ করা হল দেখুন।’

এর আগে এ বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর ঐশ্বর্য অভিযোগ করেন, রাবড়ি দেবী ও তাঁর মেয়ে মিসা ভারতী খারাপ ব্যবহার করতেন, খেতেও দিতেন না। সেই সময় পুলিশে অভিযোগ দায়ের করার কথা বলেছিলেন তাঁরা। তবে তখন আর পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেননি তাঁরা। এবার এফআইআর করলেন। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।