নয়াদিল্লি: কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে কৃষকদের সমর্থনে ট্র্যাক্টর চালিয়ে সংসদের পথে রাহুল গাঁধী। সংসদের সামনে বিজয় চকে আটকায় পুলিশ। আটকে দেওয়া হয় কংগ্রেস নেতাদের। পরে রণদীপ সুরজেওয়ালা-সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়।


দিল্লির বিভিন্ন সীমান্তবর্তী এলাকায় কৃষকদের আন্দোলন চলছে তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে। তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ রাজপথ থেকে সংসদেও শোনা যাচ্ছে। বিরোধীরা সংসদের চলতি বাদল অধিবেশনে এই ইস্যুতে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। এরইমধ্যে আজ ট্রাক্টর চালিয়ে কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হলেন রাহুল গাঁধী। 


যে ট্রাক্টরে করে রাহুল সংসদ ভবনের পথে রওনা দেন, সেই ট্রাক্টরে ছিল কালো রঙের একটি বোর্ড। ওই বোর্ডে লেখা-'কৃষক বিরোধী তিন কৃষি আইন বাতিল করতে হবে'। 
সংসদ ভবনে পৌঁছে রাহুল গাঁধী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা কৃষকদের বার্তা নিয়ে সংসদে এসেছি। কৃষকদের দাবি ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। সরকারকে কৃষি আইন বাতিল করতেই হবে। এই আইন ২-৩ জন বড় শিল্পপতির স্বার্থে। তা কৃষকদের স্বার্থে নয়। এগুলি কালো আইন। 


রাহুলের অভিযোগ, এই আইন নিয়ে সংসদে আলোচনা করতে দিচ্ছে না সরকার। এদিন সংসদের অধিবেশনে কৃষি আইন নিয়ে উত্তাপ বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। 


এদিকে, কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলনের অষ্টম মাস পূর্তি উপলক্ষ্যে মহিলারা আজ যন্তরমন্তরে কিষাণ সংসদের আয়োজন করবেন। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা সংসদের বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার পর ২২ জুলাই থেকে যন্তরমন্তরে তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছে। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার দাবি, গত আট মাস ধরে চলা কৃষি আইন বিরোধী আন্দোলনে বিভিন্ন রাজ্যের প্রায় কয়েক লক্ষ কৃষক অংশগ্রহণ করেছেন। 


এদিকে, পেগাসাস রিপোর্ট নিয়েও সংসদে আলোচনার জন্য নোটিশ দিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেস সাংসদ মণীষ তিওয়ারি পেগাসাস রিপোর্ট নিয়ে আলোচনার জন্য মুলতুবী প্রস্তাবের নোটিশ দিয়েছেন। অভিযোগ, ৩০০ জনের বেশি ভারতীয়র মোবাইল নম্বর ইজরায়েলি কোম্পানির এনএসও-র পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে হ্যাকিংয়ের নিশানা করা হয়েছে। যদিও সরকার এই ঘটনায় বিরোধীদের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।