নয়াদিল্লি: তেলঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস জিতলে এক লপ্তে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কৃষিঋণ মকুব করার প্রতিশ্রুতি রাহুল গাঁধীর। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী টিআরএস প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাওকে আক্রমণ করে তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া ও দুর্নীতির অভিযোগও তুলেছেন কংগ্রেস সভাপতি।
শনিবার নির্মল জেলায় জনসভায় দলের নির্বাচনী প্রচারের সূচনা করে তিনি বলেন, বি আর অম্বেডকরের নামাঙ্কিত একটি প্রকল্পের নাম বদলে দিয়ে তাঁকে অপমান করেছেন কেসিআর। তিনি প্রকল্পের নকশাও বদল করায় তার খরচ ৩৮০০০ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ১ লক্ষ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে বলেও দাবি করেন রাহুল। বলেন, কেন প্রকল্পটি লক্ষ কোটি টাকার হয়ে গেল? কারণ মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতিতে প্রশ্রয় দিতে চান। রাজীব সাগর ও ইন্দিরা সাগর প্রকল্পের আসল অর্থমূল্যও বেড়ে গিয়েছে বলে জানান রাহুল। বলেন, যেদিকেই তাকান, দেখবেন, মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতিতে মদত দিচ্ছেন, ফায়দা পাচ্ছে তাঁর পরিবার, আত্মীয়স্বজন। মুখ্যমন্ত্রী হয়েই কেসিআর দুর্নীতিতে প্রশ্রয় দেওয়া শুরু করেন, যাতে সব সুবিধা পেয়েছে তাঁর পরিবার।
কংগ্রেস সভাপতি বলেন, তেলঙ্গানায় পরিবর্তন আসবেই। কেসিআর সরকার বিদায় নেবেই। দিল্লিতেও নরেন্দ্র মোদীর সরকারের বিদায় হবে। আমি এখানে মিথ্যা আশ্বাস দিতে আসিনি। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি শুনতে চাইলে কেসিআর, মোদীর কাছে যান। তেলঙ্গানায় চার বছরের কেসিআরের শাসনে ৪৫০০ চাষী আত্মহত্যা করেছে, রাজ্য ২ লক্ষ কোটি টাকার দেনায় ধুঁকছে বলেও দাবি করেন তিনি। অভিযোগ করেন, কেসিআর সরকার প্রতিটি পরিবারকে চাকরি, প্রতিটি তফসিলি জাতি ও উপজাতি পরিবারকে তিন একর জমি ও যোগ্য লোকজনকে দুই বেডরুমের বাড়ি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ, তফসিলি উপজাতিদের ১২ শতাংশ সংরক্ষণ, প্রতিটি পরিবারকে দূষণমুক্ত পানীয় জল সরবরাহের প্রতিশ্রুতিও পালন করেনি। একই ভাবে মোদী সরকারও প্রত্যেক দেশবাসীর অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা, ২ কোটি বেকার যুবককে কাজ ও কৃষককে ফসলের ন্যয্য মূল্য দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি।
কংগ্রেস কেন্দ্রে ও তেলঙ্গানায় ক্ষমতায় এলে আদিবাসী অধিকার বিল (তফসিলি জাতি ও জঙ্গলের অন্যান্য চিরাচরিত বাসিন্দা (জঙ্গলের অধিকারের স্বীকৃতি আইন) ও জমি অধিগ্রহণ আইন অক্ষরে অক্ষরে কার্যকর করবে বলেও জানান রাহুল।