জয়পুর: রাজস্থানের বিভিন্ন জায়গায় বজ্রপাতে মৃত্যু হল ২০ জনের। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। তিনি মৃতদের পরিবারের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা করে সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন। 


গতকাল জয়পুরের আমের ফোর্টে ওয়াচ টাওয়ারের উপর বজ্রপাত হয়। ফলে সেখানে থাকা অন্তত ১৩ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া কোটায় চারজন, ঢোলপুরে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে কয়েকটি শিশুও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।


রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে বলেছেন, ‘কোটা, ঢোলপুর, ঝালোয়ার, জয়পুর ও বারানে বজ্রপাতে এতজনের মৃত্যু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। শোকগ্রস্ত পরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা জানাই। ঈশ্বর তাঁদের এই শোক সহ্য করার শক্তি দিন। এই পরিবারগুলিকে যত দ্রুত সম্ভব সহায়তা প্রদান করার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’


স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল জয়পুরের আবহাওয়া অত্যন্ত মনোরম ছিল। সেই কারণে বহু মানুষ আমের ফোর্টে প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তার মধ্যেই ঘটে গেল এই বিপর্যয়। হঠাৎ বজ্রপাতে একসঙ্গে এতজন প্রাণ হারালেন। 


আমের ফোর্টে বজ্রপাতে ১৭ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের যৌথ দল তাঁদের উদ্ধার করে জয়পুরের সোয়াই মান সিংহ হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে। সেখানেই তাঁদের চিকিৎসা চলছে।


এই মর্মান্তিক ঘটনার খবর পেয়েই আমের ফোর্টের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সেখানে যান জেলাশাসক অন্তর সিংহ। বজ্রপাতে মৃত্যু এড়ানোর লক্ষ্যে বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়ার বিষয়ে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের জরুরি বৈঠক ডেকেছেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী। আজ বেলা বারোটায় জয়পুরে এই বৈঠক হবে বলে জানা গিয়েছে।


রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজেও এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সবার কাছে আমার আবেদন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সময় কেউ আতঙ্কিত হয়ে পড়বেন না। কেউ গুজব রটাবেন না বা গুজবে কান দেবেন না। তাতে আপনাদের আরও ক্ষতি হতে পারে। বরং প্রশাসন ও আবহাওয়া দফতরের পরামর্শ অনুযায়ী চলুন।’