জয়পুর: রাজস্থানে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন, সচিন পায়লট না অশোক গেহলৌত, এই প্রশ্ন ঘিরে জল্পনার মধ্যেই রাজ্যের নবনির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়করা প্রস্তাব পাস করিয়ে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার ছেড়ে দিলেন রাহুল গাঁধীর হাতে। এক কংগ্রেস নেতা বলেন, পরিষদীয় বৈঠকে প্রস্তাব পাশ করেছেন দলীয় বিধায়করা। মুখ্যমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত করার ব্যাপারে শেষ কথা বলবেন রাহুল গাঁধী। এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক অবিনাশ পান্ডে ও দলের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সি সি বেনুগোপাল বৈঠকে প্রত্যেক বিধায়কের ব্যক্তিগত মত শোনেন এ ব্যাপারে। রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি সচিন পায়লট, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলৌতও ছিলেন বৈঠকে। মুখ্যমন্ত্রী পদে দাবিদার বলে মনে করা হচ্ছে দুজনকেই।
এক নির্বাচিত কংগ্রেস বিধায়ক বলেন, তাঁর মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি শুধু ‘হাইকম্যান্ড’ শব্দটি বলেন, যার অর্থ দলের সভাপতি। তাঁর বক্তব্য, দল জিতেছে রাহুল গাঁধীর জন্যই, ফলে তাঁকেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত মত দিতে হবে। যদিও বিশ্বেন্দ্র সিংহ নামে এক জাঠ নেতা-বিধায়ক ওই প্রস্তাবে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। যে বৈঠকে রাহুলকে মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের ক্ষমতা দিয়ে প্রস্তাব পাশ হয়, সেখানে তিনি ছিলেন। পরে তিনি বলেন, শুধু হাইকম্যান্ডই যদি সিদ্ধান্ত নেয়, তখন এখানে বৈঠক করার, পর্যবেক্ষক পাঠানোর মানে কী?
সম্ভবত, বিকালেই মুখ্যমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করা হবে। সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ রাজ্যপাল কল্যাণ সিংহের কাছে গিয়ে রাজস্থানে সরকার গঠনের দাবি জানাবে কংগ্রেস বিধায়কদের প্রতিনিধিদল। রাজ্যপাল তখন কংগ্রেসকে সময় দিয়েছেন বলে খবর রাজভবন সূত্রের।
সচিন পায়লট বলেন, আমাদের পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আছে, বিকালে সরকার গড়ার দাবি পেশ করব। সব অ-বিজেপি দল ও বিজেপি বিরোধী ও আমাদের সমর্থনে আগ্রহী নির্বাচিত বিধায়কদের সঙ্গে নেব।
রাজস্থানে একক বৃহত্তম দল হয়েছে কংগ্রেস, ৯৯টি আসন পেয়ে। তাদের সঙ্গী আরএলডি পেয়েছে একটি আসন। সরকার গড়তে চাই ১০০ বিধায়কের সমর্থন। বিজেপি ৭৩টি, বসপা ৬টি আসন পেয়েছে। সিপিএম দুটি, নির্দলরা ১৩টি, অন্যরা ৬টি আসন জিতেছে। বসপা নেত্রী মায়াবতী কংগ্রেসকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন।