ভিলওয়াড়ার জেলাশাসকের দফতর সূত্রে খবর, ১৩ জুন ওই বিয়ের অনুষ্ঠান ছিল। ছেলের বিয়েতে ৫০ জন আমন্ত্রিত ব্যক্তির হাজির থাকার কথা বলে অনুষ্ঠানের অনুমতি নেন ঘাসুলাল রাঠি নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু তাঁরা ২৫০ জনকে আমন্ত্রণ জানান। ওই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত কেউই মাস্ক পরেননি, স্যানিটাইজার ব্যবহার করেননি। সামাজিক দূরত্বের বিধিও মানা হয়নি। এই অনুষ্ঠানের পরেই করোনা আক্রান্ত হন বর সহ ১৫ জন। তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যুও হয়। করোনা সন্দেহে কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রাখা হয় ৫৮ জনকে। আক্রান্ত ১৫ জনকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
নিয়ম লঙ্ঘন এবং অন্যদের জীবন বিপন্ন করে তোলার অভিযোগে এ মাসের ২২ তারিখ ওই পরিবারের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়। গতকাল জেলাশাসক রাজেন্দ্র ভাট নির্দেশ দিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ৬,২৬,৬০০ টাকা জমা দিতে হবে। করোনা পরীক্ষা, চিকিৎসা, কোয়ারেন্টিন সেন্টার, আইসোলেশন ওয়ার্ড, খাবারের ব্যবস্থা, অ্যাম্বুল্যান্স এবং করোনা আক্রান্তদের যাতায়াতের জন্য ওই টাকা ব্যবহার করা হবে।
ভারতে করোনা সংক্রমণের শুরুতে ভিলওয়াড়ায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। তবে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে সংক্রমণ রোধ করে। প্রথমে গোটা জেলা সিল করে দেওয়া হয়। এরপর শহরাঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলেও করোনা পরীক্ষা শুরু হয়। তৃতীয় ধাপে কোয়ারেন্টিন সেন্টার ও আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়। সারা দেশে ‘ভিলওয়াড়া মডেল’ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। কিন্তু সেখানেই এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।