এধরনের কাণ্ড করার পর মন্ত্রী শম্ভু সিংহ খাটেসারকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি প্রকাশ্যে এভাবে প্রস্রাব কেন করলেন? তাতে মন্ত্রীর জবাব, এটা তো বহু পুরনো ঐতিহ্য। প্রকাশ্যে এভাবে প্রস্রাব করাটা কোনও অন্যায় নয়।
তবে মন্ত্রী নিজে তাঁর কাজের সমর্থনে যতই সওয়াল করুন, তাঁর এই কাণ্ডের জেরে বেজায় অস্বস্তিতে বিজেপি। ওই মন্ত্রী যেখানে প্রস্রাব করেছেন, সেখানে রাজস্থানের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজের একটি পোস্টার ছিল। এছাড়া এভাবে প্রকাশ্যে প্রস্রাব করাটা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বচ্ছ ভারত প্রকল্পের আদর্শের একেবারেই বিরুদ্ধে। যদিও ছবি ভাইরাল হওয়ার পর এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে ওই মন্ত্রী দাবি করেন, তিনি মোটেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পোস্টারের কাছে প্রস্রাব করেননি।
মোদীর স্বচ্ছ ভারত মিশনেরও আদর্শ-বিরুদ্ধ নয় এই কাজটি, মত ওই মন্ত্রীর। খাটেসারের বক্তব্য, কোনও ফাঁকা জায়গায় প্রস্রাব করাই যায়। প্রধানমন্ত্রীর মিশনের যে মূল লক্ষ্য প্রকাশ্যে নিত্যকর্ম করলে অসুখ ছড়াতে পারে, সেই আদর্শকেও লঙ্ঘিত করে না কারণ জনমানবহীন ফাঁকা জায়গায় প্রস্রাব করলে সেখান থেকে অসুখ ছড়ায় না।
এছাড়া ওই অঞ্চলে কোনও শৌচাগার না থাকায় তিনি বাধ্য হয়েছেন প্রকাশ্যে প্রস্রাব করতে। অথচ ওই মন্ত্রীরই দাবি, বসুন্ধরা রাজের ওই সভায় হাজির ছিলেন প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ। কিন্তু সেখানে শৌচাগারের কোনও ব্যবস্থাই রাখা হয়নি।