নয়াদিল্লি: সোমবার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করলেন কলকাতার প্রাক্তন কমিশনার রাজীব কুমার। এদিন সুপ্রিম কোর্টে এফিডেভিট দিয়ে রাজীব কুমার শীর্ষ ন্যায়ালয়কে জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে বিরাট ষড়যন্ত্র চলছে। আর তা চালাচ্ছেন দুই বিজেপি নেতা। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায় ও বিজেপির সর্বভারতীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র নাম করেই সিবিআইকে নিশানা করেছেন তিনি।


আদালতের কাছে তিনি সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হওয়া মুকুল রায় ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়র অডিও ক্লিপের কথাও তুলে ধরেন। রাজীব কুমার সিবিআইকে নিশানা করে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের কিছু সিনিয়র অফিসারকে ‘টার্গেট’ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ জানিয়েছেন রাজীব কুমার। দুই বিজেপি নেতার কথোপকোথনেই তা স্পষ্ট বলে দাবি কলকাতার প্রাক্তন কমিশনারের।


উল্লেখ্য, সারদা মামলায় শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাজীব কুমারের কাছে জবাবদিহি চেয়েছিল রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ। শনিবার তিনি তা জমা করতে পারেননি। এদিন সেকথাও আদালতকে জানিয়েছেন রাজীব কুমারের উকিল ইন্দিরা জয়সিংহ। শনিবার ছুটি থাকার কারণেই রাজীব কুমারের পক্ষে তা করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ। প্রসঙ্গত, সারদা মমলায় তদন্তের স্বার্থে শীর্ষ আদালতে রাজীব কুমারকে গ্রেফতার করার আর্জি জানিয়েছিল সিবিআই। সেই মর্মেই গত ৮ এপ্রিল রাজীব কুমারের জবাবদিহি চেয়েছিল বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের বেঞ্চ। গত ৫ ফেব্রুয়ারি এই বেঞ্চই রাজীব কুমারকে ‘রক্ষাকবচ’ দিয়েছিল। সিবিআইয়ের আর্জি খারিজ করে আদালত জানিয়েছিল, রাজীব কুমারকে এখনই গ্রেফতার করা যাবে না। পরে সিবিআই আরও একবার রাজীব কুমারকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আর্জি জানালে আদালত সেই বিষয়ে শুনানির  জন্য ১৫ এপ্রিল দিনটিকে ধার্য করে। একই সঙ্গে আদালত সিবিআইকেও একটি এফিডেভিট জমা করার কথা বলে। ভোডাফোন, এয়ারটেলের মতো যে টেলিকম সংস্থাগুলো তদন্ত সহযোগিতা করছে না বলে সিবিআই অভিযোগ করেছিল, তাদের বিরুদ্ধে নতুন করে  এফিডেভিট জমা করার যে আবেদন সিবিআইয়ের তরফে করা হয়, তাও মেনে নিয়েছে আদালত।