নয়াদিল্লি: করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় একগুচ্ছ পদক্ষেপ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের।  লকডাউনের জেরে চাপ পড়েছে অর্থনীতির ওপর। এই পরিস্থিতিতে বাজারকে চাঙ্গা করতে রিভার্স রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট বা ০.২৫ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। এদিন শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস এই ঘোষণা করেন। নতুন রিভার্স রেপো রেট হয়েছে ৩.৭৫ শতাংশ। অপরিবর্তিত থাকছে রেপো রেট।

প্রসঙ্গত, রেপো রেট হল যে সুদের হারে আরবিআই থেকে ঋণ নেয় ব্যাঙ্কগুলি। অন্যদিকে, যে সুদের হারে শীর্ষ ব্যাঙ্কের কাছে অর্থ গচ্ছিত রাখে অন্য ব্যাঙ্কগুলি, সেটি হল রিভার্স রেপো রেট। আরবিআই গভর্নরের মতে, রিভার্স রেপো রেট কমিয়ে দেওয়ার ফলে, এতে ব্যাঙ্কগুলি  বাজারে লগ্নি করতে উৎসাহিত হবে। পাশাপাশি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ৩ মাস ইএমআই দিতে না পারলে গ্রাহকের নাম ঋণখেলাপীর তালিকায় উঠবে না। উল্টোদিকে ব্যাঙ্কগুলিকে সুরাহা দিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আপাতত ব্যাঙ্কগুলিও প্রাপকদের ডিভিডেন্ড দেবে না।

লকডাউনের পরিস্থিতি থেকে অর্থনীতির মুক্তির উপায় খুঁজতে ক্ষুদ্র, মাঝারি শিল্প ও কৃষির জন্য ৫০ হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক।  এছাড়াও ব্যাঙ্কে আর্থিক জোগান বাড়াতে দেওয়া হবে ৫০ হাজার কোটি টাকা। বিশেষ করে নাবার্ড, ন্যাশনাল হাউসিং ব্যাঙ্ক ও সিডবি-র মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে নতুন অর্থ জোগান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। আবাসন শিল্পের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ।

আজ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন, মার্চ মাসে রফতানি হ্রাস হয়েছে ৩৪.৬ শতাংশ, যা ২০০৮-০৯ সালের বিশ্বমন্দার চেয়েও খারাপ। ভারতের সম্ভাব্য আর্থিক বৃদ্ধির হার ১.৯ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে বৃদ্ধির সম্ভাব্য হার ৭.৪ শতাংশে দাঁড়াতে পারে।  এবছর বৃষ্টির স্বাভাবিক পূর্বাভাসে ফলন ভাল হওয়ার আশা। সেটাই সরকারকে স্বস্তি দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর। তাঁর দাবি, ‘জি-২০ দেশগুলির মধ্যে ভারতের বৃদ্ধির হার সবথেকে ভাল’।  করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যাঙ্কগুলিতে নগদের জোগান বাড়ানো হয়েছে বলে জানান তিনি।