নয়াদিল্লি: রিংয়ে তাঁদের চিৎ করে দেয়, এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডে বোধহয় এমন কেউ নেই। কিন্তু মালিকের মনমর্জির সামনে আমার-আপনার মতই অসহায় ডব্লিউডব্লিউই-র সর্বশক্তিমান কুস্তিগীররা। বিশ্বব্য়াপী করোনা সঙ্কটে তাঁদেরও বেশ কয়েকজনের চাকরি নট হয়ে গিয়েছে।
সব মিলিয়ে ৩০ জনকে বরখাস্ত করেছে ডব্লিউডব্লিউই। শুধু কুস্তিগীর নন, এঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রযোজক, রেফারি, লেখকরা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এখানেই শেষ নয়, ছাঁটাই চলতে থাকবে। যাঁদের চাকরি গিয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১৯৯৮ অলিম্পিকে সোনাজয়ী কার্ট অ্যাঙ্গল, গত বছর ব্যাকস্টেজ প্রডিউসার হিসেবে এখানে যোগ দেন। গত মাসের শুরুতে রেসলম্যানিয়ায় যোগ দেওয়া গ্যালোজ অ্যান্ড অ্যান্ডারসন টিম ও ৩১ বছর ধরে এখানে চাকরি করা রেফারি মাইক শিওদাকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে ডব্লিউডব্লিউউ বলেছে, করোনাভাইরাস ও বর্তমান সরকারের নানা পদক্ষেপের জেরে তাদের এই ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত। এক্সিকিউটিভ ও বোর্ড সদস্যদের মাইনে কমানো হবে বলে জানানো হয়েছে, অন্তত আগামী ৬ মাসের আরও নানা দিকে খরচ কমানো হবে। ডব্লিউডব্লিউই-র সিইও এবং চেয়ারম্যান ভিন্স ম্যাকমাহনের স্ত্রী ও আমেরিকার প্রাক্তন মন্ত্রী লিন্ডা ম্যাকমাহনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পর্ক নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। এরপরই ভিন্সের প্রকৃত আর্থিক অবস্থা নিয়ে উঠে গিয়েছে প্রশ্নচিহ্ন।
এর আগে ১৩ মার্চ ডব্লিউডব্লিউই তাদের প্রথম ফাঁকা অ্যারিনা শো করে। তখন করোনার কথা উল্লেখ করা হয়নি, বলা হয়েছিল, উদ্ভূত পরিস্থিতির জেরে এই সিদ্ধান্ত। আর এবার ছাঁটাই ও বেতন কাটছাঁটে মাসে ৪০ লক্ষ ডলার বাঁচবে বলে মনে করছে তারা।