রায়ের পর শবরীমালা মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অন্যান্য ধর্মীয় গুরুদের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে তারা পুনর্বিচার চাইবে।
তবে ৫ বিচারপতির মধ্যে ৪ জন সবরীমালায় সব বয়সের মহিলাদের বিনা বাধায় প্রবেশাধিকারের পক্ষে রায় দিলেও ভিন্ন মত পোষণ করেছেন বেঞ্চের একমাত্র মহিলা বিচারপতি ইন্দু মালহোত্রা। তিনি বলেছেন, এই রায়ের বিশাল প্রভাব পড়বে, ধর্ম কীভাবে পালিত হবে তা সেই ধর্মাবলম্বীদের ওপরেই ছেড়ে দেওয়া উচিত। এ বিষয়ে আদালত সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। ধর্মাচরণের অধিকার মৌলিক অধিকারের মধ্যেই পড়ে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, মহিলাদের ঈশ্বরানুসন্ধান ও আধ্যাত্মিকতায় সমান অধিকার রয়েছে। চাপিয়ে দেওয়া কোনও নিয়ম এর বিরোধিতা করতে পারে না। সমাজেরও মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে, বুঝতে হবে নারী-পুরুষ সমান, কেউ এগিয়ে, পিছিয়ে নেই। ভগবান আয়াপ্পার অনুগামীরা আলাদা কোনও ধর্মের অংশ নন, তাঁরাও হিন্দু ধর্মাবলম্বী। কোনও ধার্মিক প্রক্রিয়ার বাইরে কিছু মানুষকে জোর করে আলাদা রাখা যাবে না।
রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। বলেছেন, এই রায়ে তিনি খুশি।
কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রী মানেকা গাঁধীও এই রায় সমর্থন করেছেন।