নয়াদিল্লি: আজ কংগ্রেস প্রতিনিধিদলের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব দিল্লির হিংসাবিধ্বস্ত অঞ্চল পরিদর্শন করলেন রাহুল গাঁধী। তিনি বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখেন। হিংসার সময় ব্রিজপুরী অঞ্চলে একটি স্কুলে ভাঙচুর চালানোর পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সেই স্কুল পরিদর্শনের পর রাহুল বলেন, ‘এই স্কুলটি ভারতের ভবিষ্যৎ। ঘৃণা ও হিংসা এটিকে শেষ করে দিয়েছে। এতে কারও লাভ হয়নি। উন্নয়নের প্রতিপক্ষ হল ঘৃণা ও হিংসা। এটা হিন্দুস্তান ও ভারতমাতার ক্ষতি। সারা বিশ্বে আমাদের সুনাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’

এদিন রাহুলের সঙ্গে ছিলেন কে সি বেনুগোপাল, অধীররঞ্জন চৌধুরী, কে সুরেশ, মুকুল ওয়াসনিক, কুমারী শেলজা, গৌরব গগৈ ও রণদীপ সূরজেওয়ালা। তাঁরা কেরল ভবন থেকে একটি বাসে চড়ে প্রথমে যান চাঁদবাগে। সেখানে গিয়ে দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলেন রাহুলরা। তাঁরা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে খোঁজ নেন। এরপর অন্যান্য জায়গাগুলিও পরিদর্শন করেন তাঁরা।

দিল্লিতে হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া অঞ্চলগুলি পরিদর্শন করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি দল গঠন করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি দিল্লির হিংসা নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবিতে সরব। সরকার আলোচনার বিষয়ে সম্মত হলেও, লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা জানিয়েছেন, হোলির পরে এ বিষয়ে বিতর্ক হবে। এতে বিরোধী দলগুলি ক্ষুব্ধ।