রাঁচি: বহু কোটি টাকার পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় সাজা প্রাপ্ত আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদব তাঁর সাময়িক জামিনের মেয়াদ শেষে রাঁচির সিবিআই আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন। এর আগে আগস্ট ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টে লালুপ্রসাদের ফরলো-র মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি খারিজ হয়ে যায়। তাঁকে সিবিআই আদালতে ৩০ আগস্টের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ মতো এদিন পটনা থেকে রাঁচিতে আসেন লালুপ্রসাদ। গত ১১ মে চিকিত্সার জন্য ছয় সপ্তাহের সাময়িক জামিন মঞ্জুর করেছিল আদালত। জামিনে থাকার সময় কোনও জন সমাবেশ, রাজনৈতিক কার্যকলাপ বা সংবাদমাধ্যমে কোনওরকম বিবৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।
আদালতের নির্দেশ মতো এদিন আত্মসমর্পণ করেন তিনি। তবে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে আদালত তাঁকে হাসপাতালে চিকিত্সার অনুমতি দিয়েছে। আইন অনুযায়ী, লালুপ্রসাদকে জেলে নিয়ে যাওয়া হবে।  সেখানে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। এরপর তাঁকে রাঁচির রিমস হাসপাতালে পাঠানো হবে। সেখানে চিকিত্সকদের পর্যবেক্ষণে থাকবেন তিনি।


আত্মসমর্পণের ঠিক আগে লালুপ্রসাদ বলেন, আদালতের সিদ্ধান্তকে আমি সমর্থন করি। হাসপাতালে থাকার আর্জি সম্পর্কে লালুপ্রসাদ বলেন,তিনি এ ধরনের কোনও আর্জি জানাননি। সরকার যেখানে খুশি তাঁকে রাখতে পারে।

আসলে তিনি গত কিছুদিন ধরেই অসুস্থ। রাঁচি হাইকোর্টের আত্মসমর্পণের নির্দেশের আগে তিনি মুম্বইয়ের এশিয়ান হার্ট ইন্সস্টিটিউটে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ২৫ আগস্ট পটনায় এসেছিলেন। গতকাল পটনা থেকে রাঁচিতে আসেন তিনি।

এদিকে, পটনা থেকে রাঁচি আসার পথে বিমানে লালুর স্বভাবসিদ্ধ রসিকতায় উপস্থিত সবাই হেসে ফেলেন। বিমানে লালুপ্রসাদ সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলেন। রাঁচি যাওয়ার সময় লালুপ্রসাদ তাঁর সঙ্গী ভোলা যাদবের সঙ্গে সামনের আসনে জানালার ধারে বসেছিলেন। বিমান সেবিকা তাঁকে কাজু বাদাম খেতে দেন। ভোলা যাদব বাক্স খুলে লালুপ্রসাদের হাতে কাজু বাদাম দেন।
কাজু বাদাম খেতে খেতেই সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলছিলেন লালুপ্রসাদ। নীতীশ কুমার থেকে শুরু করে রাহুল গাঁধীকে নিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন তিনি।
এরইমধ্যে আর এক সাংবাদিক তাঁর কাছে আসেন। সেই সময় স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে লালু বিমান সেবিকাকে বলেন, ‘আমার পয়সা জলে গেল।এই সিস্টার এই বাদাম খেতে দিচ্ছেন না’।
তাঁর এই কথা শুনে উপস্থিত সবাই হেসে ফেলেন।