শিকাগো: শিকাগোয় আরএসএসের বিশ্ব হিন্দু কংগ্রেসের সভায় লাভ জিহাদের শিকার বলে সরাসরি তুলে ধরা হল অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরকে। তাঁর ছবি দেখিয়ে বলা হয়েছে, প্রয়াত প্রাক্তন ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পতৌদির সঙ্গে তাঁর বিয়ে লাভ জিহাদ ছাড়া কিছু নয়। একই সঙ্গে এই প্রসঙ্গে উঠে এসেছে শর্মিলা পুত্র সেফ আলি খানের প্রাক্তন ও বর্তমান পত্নী অমৃতা সিংহ ও করিনা কপূরের নামও।


আগামী লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে সব দলই শুরু করেছে নিজেদের মত করে প্রস্তুতি। বিশ্ব হিন্দু কংগ্রেসের সভায় গতকাল সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত স্পষ্ট ভাষায় হিন্দুদের রক্ষা করার কথা বলেছেন। হিন্দুদের একজোট হওয়ার কথা বলে তিনি বলেছেন, বাঘ যদি একা থাকে তবে একদল বুনো কুকুর এক সঙ্গে আক্রমণ করে তাকে হারিয়ে দিতে পারে। তাই একজোট হওয়া জরুরি। কিন্তু কংগ্রেসে লাভ জিহাদের শিকার হিসেবে শর্মিলা ঠাকুরের নাম উল্লেখ হওয়ায় বিতর্ক শুরু হয়। মোহন ভাগবতের সামনেই বলা হয়, হিন্দুদের এখন বড় বিপদ লাভ জিহাদ, শর্মিলা ঠাকুরের মুসলমানের সঙ্গে বিয়ে হওয়া তারই উদাহরণ। শর্মিলাকেও ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে হয়, নাম পালটে রাখা হয় আয়েষা সুলতানা। তাঁর সন্তানদের নামও আরবী, তাঁরা বেড়ে উঠেছেন সম্পূর্ণ ইসলামীয় পদ্ধতিতে।

শর্মিলা-পতৌদির বড় ছেলে সেফের প্রথম বিয়ে অমৃতা সিংহের সঙ্গে। সে কথা উল্লেখ করে বিশ্ব হিন্দু কংগ্রেসে বলা হয়, তাঁকেও ইসলাম গ্রহণ করতে হয়। তারপর সেফ তাঁকে ডিভোর্স দেন। এবার তিনি বিয়ে করেছেন করিনা কপূরকে। প্রশ্ন উঠেছে, করিনাও কি শেষ পর্যন্ত ধর্ম পরিবর্তনে বাধ্য হবেন? তাঁর ছেলে তৈমুরকে কি হিন্দুধর্মের সঙ্গে পরিচিত হতে দেওয়া হবে?

বিষয়টি তুলেছেন দিলীপ আমিন নামে এক হিন্দু নেতা। এবিপি আনন্দ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ধর্ম পরিবর্তন করতে হলে বুঝে সুঝে করা উচিত। অন্য ধর্ম যদি ভাল লাগে তবেই তা গ্রহণ কর। কিন্তু কেউ যদি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্মান্তরণে চাপ দেয় তবে তা অন্যায়। এভাবে ধর্ম পরিবর্তন বেআইনি।