বিকানের: তথ্যের অধিকার আইনে ২০০১ থেকে উন্নয়নমূলক কাজকর্মের হিসেব জানতে চেয়েছিলেন রাজস্থানের হনুমানগড় জেলার ভদ্র তেহসিলের চানি বড়ি গ্রামের দুই বাসিন্দা বিকাশ চৌধুরী ও মনোহর লাল। প্রথমবার তাঁরা কোনও জবাব পাননি। দ্বিতীয়বার আবেদন জানানোর পর গ্রাম পঞ্চায়েতকে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেয় রাজস্থান তথ্য কমিশন। কিন্তু উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ানের বদলে বিকাশ ও মনোহর যে খাম পেলেন, তাতে রয়েছে কন্ডোম! অভিযোগ পাওয়ার পর এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।

চানি বড়ি পঞ্চায়েতের সরপঞ্চ পুষ্প বনসল ভিরানি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, চক্রান্ত করে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

মহকুমা শাসক রাজকুমার কাসবা জানিয়েছেন, ‘তথ্যের অধিকারে আবেদনকারীরা তদন্তের সময় ফের একই অভিযোগ জানিয়েছেন। গ্রামসেবক আবার লিখিতভাবে জানিয়েছেন, তিনি কোনও খামে আপত্তিকর কিছু রাখেননি। তথ্যের অধিকার আইনে যে জবাব চাওয়া হয়েছিল, সেটাই দেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের সিইও এবং ব্লক উন্নয়ন আধিকারিকের কাছ থেকে এ বিষয়ে রিপোর্ট চেয়েছেন হনুমানগড় জেলা কালেক্টর।’

হনুমানগড় জেলা পরিষদের সিইও নবনীত বনসল জানিয়েছেন, তিনি এই বিষয়টি জানতে পেরেছেন। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। গ্রামের দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের ফলেও এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।