চণ্ডীগড়: এবার হরিয়ানা ভোটে তিনি লড়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের বিরুদ্ধে। তাতে হার হয়েছে। সে নিয়ে তিক্ততা না মেলাতেই বহিষ্কৃত বিএসএফ জওয়ান তেজ বাহাদুর জানতে পেরেছেন, তাঁর দল জননায়ক জনতা পার্টি সেই বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েই সরকার গড়তে চলেছে। তেজ বাহাদুর ঘোষণা করেছেন, জজপা ছাড়ছেন তিনি।


কর্মরত অবস্থায় সোশ্যাল মিডিয়ায় বিএসএফে খারাপ খাবার পরিবেশনের অভিযোগ করেন তেজ বাহাদুর। তা ভাইরাল হয়ে যায়। তদন্তের পর বিএসএফ থেকে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। এরপর গত মাসে দুষ্যন্ত চৌতালার উপস্থিতিতে হরিয়ানার রাজনীতিতে এতদিন কট্টর বিজেপি বিরোধী জজপায় যোগ দেন তেজ বাহাদুর। ভোটে দাঁড়ান খট্টরের বিরুদ্ধে কিন্তু হেরে যান।

কোনও দলই নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা না পাওয়ায় স্পষ্ট হয়ে যায়, হরিয়ানায় ক্ষমা দখল করবে জোট সরকার। বিজেপি-জজপার মধ্যে বোঝাপড়া হয়ে যায়, দুষ্যন্তকে পাশে বসিয়ে খট্টর জানিয়ে দেন, তাঁরাই সরকার গড়ছেন, নয়া সরকারে উপ মুখ্যমন্ত্রী করা হবে দুষ্যন্তকে। ক্ষুব্ধ তেজ বাহাদুর আজই দল ছেড়েছেন, মন্তব্য করেছেন, চৌতালা ধোঁকা দিয়েছেন হরিয়ানার মানুষকে। তাঁরা যে দলের হাত ধরতে চাইছেন, জনতা তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। আর আজ দুই দল যখন এক হয়েছে, তখন মানুষের উচিত, তাদের বিরোধিতা করা।

তেজ বাহাদুর বারাণসী থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে লোকসভা ভোটে লড়তে চেয়েছিলেন। নির্দল হিসেবে মনোনয়ন দাখিলও করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সমাজবাদী পার্টি তাঁকে তাদের প্রার্থী হিসেবে বেছে নেয়। কিন্তু মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যাওয়ায় তিনি ভোটে লড়তে পারেননি।

হরিয়ানার ৯০ আসনের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছে ৪০টি আসন। নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার থেকে ৬টি আসন দূরে তারা। এই পরিস্থিতিতে গতকাল নির্দল বিধায়করা তাদের সমর্থন দেওয়ার ঘোষণা করেন। এরপর গতকাল রাতেই অমিত শাহের সঙ্গে দুষ্যন্ত চৌতালার বৈঠকে বিজেপি-জজপা বোঝাপড়া চূড়ান্ত হয়।