মুম্বই: মহারাষ্ট্রে শিবসেনা যদি বিজেপির হাত ছেড়ে নিজেরা সরকার গড়তে চায়, তবে কংগ্রেস সমর্থন করতে পারে। এমনই ইঙ্গিত দিল কংগ্রেস। এনসিপি নেতা ও প্রাক্তন উপ মুখ্যমন্ত্রী ছগন ভুজবল এমন প্রস্তাব রেখেছেন। একই কথা শোনা গিয়েছে কংগ্রেস সাংসদ হুসেন দালওয়াইয়ের মুখে।


২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিজেপি-সেনা জোট পেয়েছে ১৬১ আসন। একক সংখ্যাগরিষ্ঠ বিজেপি পেয়েছে ১০৫টি, শিবসেনা ৫৬টি। একা না হলেও জোটবদ্ধভাবে ম্যাজিক ফিগার পেরিয়ে গিয়েছে তারা। উল্টোদিকে বিরোধী কংগ্রেস-এনসিপি পেয়েছে ১১৭টি আসন, যার মধ্যে এনসিপি পেয়েছে ৫৪, কংগ্রেস ৪৪। এখন মুখ্যমন্ত্রীর আসন নিয়ে বিজেপি-সেনার মধ্যে মন কষাকষি চলছে, তাদের সাহায্য ছাড়া বিজেপির ক্ষমতা দখল কার্যত অসম্ভব বুঝে সেনা চাইছে ৫০-৫০ ফর্মুলায় অন্তত আড়াই বছরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর পদ আদিত্য ঠাকরের জন্য নিশ্চিত করতে। সেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে ইতিমধ্যেই এই ফর্মুলার উল্লেখ করেছেন। সেনা তাৎপর্যপূর্ণভাবে বলেছে, মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীশের থেকে এনসিপি সভাপতি শরদ পওয়ার বেশি ক্ষমতাশালী। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস চেষ্টা করছে, যদি পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি-সেনার সংসারে ভাঙন ধরানো যায়।

যদিও রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি বালাসাহেব থোরাট বলেছেন, সেনা এখনও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। যদি তা হয়, তবে বিষয়টি দলীয় হাই কম্যান্ডকে জানানো হবে, তারাই নেবে সিদ্ধান্ত।

যদিও মুখ্যমন্ত্রী ফড়ণবীশ এ ধরনের সম্ভাবনা স্রেফ জল্পনা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। আগামী সরকার বিজেপি-সেনা জোটই তৈরি করবে, তিনি নিশ্চিত। শরদ পওয়ার অবশ্য বলেছেন, সেনার সঙ্গে জোটের পক্ষপাতী নন তিনি। তাঁর কথায়. বিজেপি-সেনা জোটের কাছে প্রয়োজনীয় বিধায়ক আছেন, তারাই সরকার গড়ুক। জনতা তাঁদের বিরোধী আসনে বসার জন্য ভোট দিয়েছেন, সরকারের গঠনমূলক বিরোধিতা করবেন তাঁরা।