নয়াদিল্লি: যুদ্ধের থেকেও প্রতিবছর আত্মহত্যায় মানুষের মৃত্যু হয় বেশি। এমনই ভয়াবহ তথ্যপ্রকাশ করল ‘হু’। সারা বিশ্বে প্রতি ৪০ সেকেন্ডে একজন মানুষ আত্মহননের পথে বেছে নিচ্ছে, বলছে পরিসংখ্যান। বিভিন্ন আত্মহত্যার পদ্ধতির মধ্যে গলায় দড়ি দেওয়া, বিষ খাওয়া বা নিজেকে গুলি করে মৃত্যুর সংখ্যাই বেশি। ‘ওয়ার্ল্ড সুইসাইড প্রিভেনশন ডে’-তে আত্মহত্যার সংখ্যা কমানোর জন্য প্রতি দেশের সরকারেরই আরও বেশি করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মত প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন।
‘আত্মহত্যা সারা বিশ্বের সমস্যা। যে কোনও বয়স, লিঙ্গ ও ধর্মের মানুষ এই সমস্যার শিকার।’, জানিয়েছে ‘হু’। ১৫ থেকে ২৯ বছরের যুবক-যুবতীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার খুবই বেশি। পথ দুর্ঘটনাতে এই বয়সের যুবকদের মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। তারপরই আসে আত্মহত্যা। এই বয়সি মেয়েদের মৃত্যুর কারণগুলির মধ্যে সবার আগে আসে সন্তানধারণ সংক্রান্ত সমস্যা। দ্বিতীয় স্থানে আত্মহত্যা।
যদিও ২০১০ থেকে ২০১৬র মধ্যে আত্মহত্যার হার কমেছে ৯.৮%, তবে সেটা কিছু কিছু জায়গায়। কোনও জায়গায় আবার এই সংখ্যা বেড়েছেও। পরিসংখ্যান বলছে, উন্নত, স্বচ্ছ্বল দেশে পুরুষদের থেকে তিনগুণ বেশি মহিলা আত্মহননের পথ বেছে নিচ্ছে। সেই তুলনায় মধ্যবিত্ত বা গরীব দেশগুলিতে এই সমস্যা কম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আত্মহত্যা প্রতিরোধযোগ্য। ‘আমরা সব দেশের কাছে অনুরোধ জানাবো, তাঁদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষা কর্মসূচিতে আত্মহত্যা প্রতিরোধের বিষয়টিকে গুরত্ব দেওয়ার জন্য’।
সংস্থার অভিমত, কীটনাশক বিক্রির ব্যাপারে সতর্ক হলে আত্মহত্যার সংখ্যা অনেকটাই কমানো যাবে। এই প্রসঙ্গে শ্রীলঙ্কা সরকারের উদাহরণ টেনে আনে। হু-এর পরিসংখ্যান অনুসারে শুধুমাত্র কীটনাশক বিক্রির ব্যাপারে সতর্ক হয়েই শ্রীলঙ্কা ৭০ শতাংশ আত্মহত্যার ঘটনা কমিয়ে এনেছে।