গোপীবল্লভপুর: রাস্তা দিয়ে বাইক চালাচ্ছেন পিপিই কিট পরা চালক, পিছনে বসে এক ব্যক্তি। সিজুয়া গ্রামের রাস্তায় এই দৃশ্যই নজর কেড়েছিল সবার। জ্বরে আক্রান্ত রোগীর থেকে আতঙ্কে মুখ ফিরিয়েছিল প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে পাশে দাঁড়ালেন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি।




কয়েকদিন ধরেই জ্বর আসছিল ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের সিজুয়া গ্রামের বাসিন্দা এক ব্যক্তির। কর্মসূত্রে গ্রামের বাইরে ছিলেন তিনি। গ্রামে ফেরার পর তাঁর ৩ সঙ্গী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁদের কোভিড পরীক্ষাও করা হয়। এর কিছুদিন পড়েই জ্বর সর্দি কাশি নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন এই ব্যক্তি। এরপরেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কোভিড সন্দেহে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি প্রতিবেশী কেউই। বাড়িতে পরিবার বলছে স্ত্রী ও শিশু। বাড়ি থেকে হাসপাতাল প্রায় ৫-৬ কিলোমিটার দূরে। পরীক্ষার জন্য বারবার হাসপাতালে ফোন করা সত্ত্বেও কোনওরকম সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ।

পরিস্থিতির কথা জানতে পেরে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন গোপীবল্লভপুরের ১ নং ব্লকের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সত্যকাম পট্টনায়েক। নিজেই পিপিই কিট পরে বাইক চালিয়ে ওই ব্যক্তিকে গোপীবল্লভপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান সত্যকাম। সেখানে কোভিড পরীক্ষা সহ অন্যান্য চিকিৎসা হয় ওই ব্যক্তির। চিকিৎসা শেষে আবার বাইকে করে বাড়ি পৌঁছে দেন তিনি।

সত্যকামের কথায়, 'প্রতিবেশীরা সবাই আতঙ্কে ছিলেন। চেষ্টা করা সত্ত্বেও ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে রাজি হয়নি কোনও যানবাহন। শেষে ঠিক করি আমাদেরই কাজটা করতে হবে। আমার যুবযোদ্ধাদের ফোন করি। আমি দোকান থেকে পিপিই কিট কিনে এনে তাই পরে ওই ব্যক্তির বাড়ি যাই। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়িও পৌঁছে দিই। এলাকার লোকেদের আতঙ্ক কাটানোর জন্য কথাও বলেছি সবার সঙ্গে।'