এছাড়াও পুলিশ হেফাজতে থাকা আম্রপালীর তিন ডিরেক্টরকে এই মর্মে শীর্ষ আদালত হলফনামা দিতে বলেছে যে, এই ৯টি বাড়ি বাদে আর কোথাও রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠানটির কোনও নথিপত্র রাখা নেই। যে সম্পত্তিগুলি সিল করতে বলা হয়েছে, সেখানে শুধু আদালত নিযুক্ত ফরেনসিক অডিটর ও তাঁদের অনুমোদিত প্রতিনিধিরাই প্রবেশ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে বেঞ্চ। এও বলেছে, নয়ডা ও গ্রেটার নয়ডার সাতটি সম্পত্তি সিল করা পর্যন্ত আম্রপালীর ডিরেক্টরদের লক আপে নয়, থানায় রাখতে হবে।
আম্রপালীর কাছ থেকে প্রায় ৪২০০০টি ফ্ল্যাটের দখল হাতে পাওয়ার জন্য খদ্দেরদের দায়ের করা একগুচ্ছ পিটিশনের প্রেক্ষিতে গতকালই সংস্থার তিন ডিরেক্টর অনিল কুমার শর্মা, শিব প্রিয়া ও অজয় কুমারের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কঠোর মনোভাব দেখিয়ে বেঞ্চ বলে, আম্রপালী আদালতের আগের নির্দেশ মেনে যাবতীয় নথি ফরেনসিক অডিটরদের হাতে তুলে দেয়নি, আদালতের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছে।
আম্রপালী গোষ্ঠীর ফরেনসিক অডিটের জন্য আদালত নিযুক্ত দুই অডিটর রবি ভাটিয়া ও পবন কুমার আগরওয়াল জানিয়েছিলেন, তারা এখনও সব নথিপত্র পাননি। এতে তাদের নির্দেশের ব্যাপক লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিমত জানায় বেঞ্চ। অ্যাকাউন্ট বইগুলি এখনও কেন হিসাবপরীক্ষকদের দেওয়া হয়নি, আম্রপালীর কাছে জানতেও চায় বেঞ্চ।
পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট জানায়, আম্রপালীর অভ্যন্তরীণ ও স্ট্যাটুটরি অডিটররা শুধু ২০১৫ পর্যন্তই অ্যাকাউন্ট বইগুলি চূড়ান্ত করেছেন, তারপর থেকে এখন পর্যন্ত সম্ভবত অ্যাকাউন্ট বইয়ের কোনও রেকর্ডই নেই।
বেঞ্চ আরও জানায়, দুই হিসাব পরীক্ষকের বক্তব্য অনুসারে ৪৬টি গ্রুপের মধ্যে শুধু আম্রপালি জোডিয়াক ও আম্র্রপালি প্রিন্সলি এস্টেটের নথি তাঁদের দেওয়া হয়েছে, যদিও সবকটি গোষ্ঠীর সব নথি দিতে বলা হয়েছিল।