নয়াদিল্লি: পাতিয়ালা হাউস কোর্টে খারিজ হয়ে গেল শেষ আবেদন। কাল ভোরেই ফাঁসি হচ্ছে নির্ভয়ার ৪ ধর্ষকের। কাল ভোর ৫.৩০ টায় তিহাড় জেলে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। তিহাড় জেলে শুরু হল তারই প্রস্তুতি।
নির্ভয়াকাণ্ডের চার দোষীর একজন পবন গুপ্তার কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি এন ভি রামান্নার নেতৃত্বাধীন শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ বলেছে, আমাদের বিচারে কোনও গ্রহণযোগ্য আবেদনই নয় এটা। পবনের যুক্তি ছিল, ঘটনার সময় সে জুভেনাইল অর্থাত নাবালক ছিল। শীর্ষ আদালত তার নাবালক হওয়ার দাবি নাকচ করে দিয়েছিল গত ২০ জানুয়ারিই। সেই রায়কে সে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কিউরেটিভ পিটিশন পেশ করে।
২০ মার্চ অর্থাত্ আগামীকাল ভোর সাড়ে ৫টায় তিহার জেলে ২০১২-র ১৬ ডিসেম্বর নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার চার দোষী মুকেশ সিংহ, পবন গুপ্তা, বিনয় শর্মা ও অক্ষয় কুমার সিংহের ফাঁসি হওয়ার কথা গত ৫ মার্চের সর্বশেষ মৃত্যু পরোয়ানা অনুসারে।
তিন-তিনবার এদের ফাঁসি শেষ প্রহরে স্থগিত হয়ে গিয়েছে তারা যাবতীয় আইনি সুরক্ষার রাস্তা পরপর ব্যবহার করে বিলম্ব ঘটানোয়। এবার কাল ফাঁসির আগে পবনের মৃত্যুদণ্ড এড়ানোর চেষ্টা ধাক্কা খেল। পবন, অক্ষয়ের দ্বিতীয় প্রাণভিক্ষার পিটিশনও খারিজ করেছেন রাষ্ট্রপতি। ফলে তারা নির্ধারিত পরিণতির দিকেই এগিয়ে চলেছে।
পবনের কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ হওয়ায় নির্ভয়ার মা কাল মেয়ের ন্যয়বিচার হচ্ছেই বলে মনে করছেন। তিনি বলেছেন, আদালত ওদের এত সুযোগ দিয়েছে যে ওরা শেষ মূহূর্তে কোনও না কোনও ছুতো দেখিয়ে ফাঁসি স্থগিত করে দেওয়া অভ্যাস করে ফেলেছে। এখন আদালতও ওদের কৌশল ধরে ফেলেছে। আগামীকাল ও ন্যয়বিচার পাবে।
এদিকে আরেক অপরাধী মুকেশের পিটিশন আজ বেলা আড়াইটেয় শুনতে সম্মত হয়েছে শীর্ষ আদালত। মৃত্যুদণ্ড খারিজ করার আবেদন জানিয়ে পেশ করা তার পিটিশনের ওপর রায়দান গতকাল স্থগিত রেখেছিল দিল্লি হাইকোর্ট। মুকেশের দাবি, নির্ভয়াকাণ্ডের সময় দিল্লিতেই ছিল না সে। নিম্ন আদালত তার দাবি নাকচ করায় সে হাইকোর্টে যায়। কিন্তু আজ হাইকোর্টও মুকেশের পিটিশন খারিজ করে দেয়। গতকাল হাইকোর্ট বলে, নিম্ন আদালতের বিস্তারিত ও যুক্তিসঙ্গত রায়ে হস্তক্ষেপ করার কোনও কারণই দেখা যাচ্ছে না। এবার সে দ্বারস্থ হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের।
গত মঙ্গলবার নিম্ন আদালত বার কাউন্সিলের কাছে দোষীর আইনজীবীর আচরণের বিষয়টি বিবেচনার জন্য পাঠিয়ে বলে, তারা যেন তাঁকে আইনি পদ্ধতি, প্রক্রিয়ার ব্যাপারে ঠিকমতো বুঝিয়ে দেয়।