নয়াদিল্লি: ১৫ ডিসেম্বর থেকে ফের নিয়মিত আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী উড়ান চালু করার কথা ঘোষণা করলেও, ওমিক্রনের জন্য পিছিয়ে এল কেন্দ্রীয় সরকার। আজ ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশনের (ডিজিসিএ) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত নিয়মিত যাত্রীবাহী আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধই থাকছে।





আজ ডিজিসিএ-র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৬ নভেম্বর যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল, সেটিতে কিছু সংশোধন করা হয়েছে। ২০২২-এর ৩১ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত নিয়মিত যাত্রীবাহী আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে কয়েকটি নির্বাচিত রুটে আন্তর্জাতিক উড়ানের ক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হতে পারে। আন্তর্জাতিক পণ্য পরিবহণ এবং ডিজিসিএ-র বিশেষ অনুমতিপ্রাপ্ত উড়ানগুলির ক্ষেত্রে অবশ্য এই বিধিনিষেধ প্রযোজ্য নয়।’ 


গত ২৬ নভেম্বর কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, ১৫ ডিসেম্বর থেকে ফের শুরু হবে আন্তর্জাতিক উড়ান। তবে ১৪টি দেশের সঙ্গে ভারতের নিয়মিত বিমান যোগাযোগ আপাতত শুরু হচ্ছে না। এই দেশগুলি হল ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, ফিনল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ব্রাজিল, বাংলাদেশ, বৎসোয়ানা, চিন, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবোয়ে ও সিঙ্গাপুর। কিন্তু এরই মধ্যে চিন্তা বাড়াচ্ছে ওমিক্রন। ভারতেও কয়েকজন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। সেই কারণেই আপাতত আরও একমাস নিয়মিত যাত্রীবাহী আন্তর্জাতিক উড়ান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


২৪ নভেম্বর পর্যন্ত ৩১টি দেশের সঙ্গে ভারতের ‘এয়ার বাবল’ চুক্তি হয়েছে। শুধু সেই দেশগুলির সঙ্গেই এখন ভারতের সীমিত আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী উড়ান পরিষেবা চালু আছে। ১৫ ডিসেম্বর থেকে আগের মতোই আন্তর্জাতিক উড়ান চালু হওয়ার কথা ছিল। তার ফলে পর্যটন শিল্পে আশার সঞ্চার হয়েছিল। কিন্তু আপাতত সেটা হচ্ছে না।


গত বছরের ২৩ মার্চ থেকেই বন্ধ যাত্রীবাহী আন্তর্জাতিক উড়ান। এখনও নিয়মিত যাত্রীবাহী উড়ান চালু হয়নি। নতুন বছরের প্রথম মাসেও বন্ধ থাকছে আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী উড়ান। ফেব্রুয়ারিতে এই পরিষেবা চালু হবে কি না, সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না।