নয়াদিল্লি: আজ ভারতে পৌঁছচ্ছে রাফাল যুদ্ধবিমানের দ্বিতীয় ব্যাচ। এই ব্যাচে তিনটি ফাইটার জেট আসছে। ফ্রান্সের মেরিনিয়াক এয়ারবেস থেকে গুজরাতের জামনগরে এসে পৌঁছবে বিমানগুলি।


ফ্রান্সের দাসোল এভিয়েশনের থেকে "ফ্লাই অ্যাওয়ে" বা একেবারে তৈরি অবস্থায় ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনে ভারতীয় বায়ুসেনা। এর মধ্যে গত ২৯ জুলাই প্রথম ব্যাচে পাঁচটি যুদ্ধবিমান আসে ভারতে। ইতিমধ্যেই গত ১০ সেপ্টেম্বর ভারতীয় বায়ুসেনায় সরকারিভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।


সেবার আবু ধাবির কাছে আল-দাফরা এয়ারবেসে একদিন বিশ্রাম নিয়ে বিমানগুলি ভারতের অম্বালায় পৌঁছয়। কিন্তু, এবার ফ্রান্স থেকে সরাসরি এক উড়ানেই ৩টি বিমান ভারতে পৌঁছচ্ছে। শুধু মাঝ-আকাশে ফরাসি ও ভারতীয় রিফুয়েলারের মাধ্যমে জ্বালানি ভরবে। জামনগরে একদিন থেকে পরদিন অর্থাৎ আগামীকাল তারা রওনা দেবে অম্বালার উদ্দেশে।


দ্বিতীয় ব্যাচের ফাইটার জেটের হস্তান্তরের আগে গতমাসে ফ্রান্সে গিয়েছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার দুই উচ্চপদস্থ আধিকারিক। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, চিন ও পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের আবহে বাড়তি যুদ্ধবিমান এলে ভারতের শক্তি আরও বাড়বে। সঙ্গে আত্মবিশ্বাসও।


ভারতীয় বায়ুসেনা সূত্রে খবর, প্রতি ২ মাসে তিন থেকে চারটি করে বিমান ভারতে এসে পৌঁছবে। আগামী বছরের মাঝামাঝি সময়ে সবকটি বিমান ভারতে পৌঁছে যাবে।


১৯৯৭ সালের জুন মাসে ভারতীয় বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল সুখোই-৩০ এমকেআই যুদ্ধবিমান। তার ২৩ বছর পর ফের কোনও বিদেশি যুদ্ধবিমান ভারতীয় বায়ুসেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হল। ইতিমধ্যেই, প্রথম ব্যাচের রাফাল যুদ্ধবিমানগুলিকে লাদাখ সীমান্তে মোতায়েন করেছে বায়ুসেনা।


২০১৬ সালের অক্টোবরে ফ্রান্সের সঙ্গে সরাসরি সরকার পর্যায়ের চুক্তির মাধ্যমে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান কেনে ভারত। মূল যুদ্ধবিমানের সঙ্গে ভারতীয় বায়ুসেনার দাবি অনুযায়ী সর্বাধুনিক সেন্সর ও প্রযুক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।


ভারতীয় রাফালে অন্তর্ভুক্ত হওয়া সরঞ্জামের তালিকায় রয়েছে -- হেলমেট মাউন্টেড সাইট, রাডার ওয়ার্নিং রিসিভার, ১০ ঘণ্টার ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার, ইনফ্রারেড সার্চ অ্যান্ড ট্র্যাকিং সিস্টেম, জ্যামার, অধিক উচ্চতায় থাকা জায়গা থেকে টেক-অফের জন্য কোল্ড ইঞ্জিন স্টার্ট কেপাবিলিটি, টাওড ডিকয় ফর ইনকামিং মিসাইল..।