কলকাতা: খোজঁ, খোজঁ, খোঁজ। একেবারে হন্যে হয়ে খোঁজা। তন্ন তন্ন করে খোঁজা। তিন দিন, তিন রাত নাওয়া খাওয়ার জো নেই। কী করে থাকবে! বাড়ির আদরের পোষ্যটি যে মিসিং! ফলে তাকে ঘিরে যাবতীয় আলোচনা, চর্চা। কোথায় দেখা যেতে পারে? কোথায় গেল? কেউ কি তুলে নিয়ে গেল? এখনও কেন ফিরছে না। জল্পনার যেন শেষ নেই। পাড়া-প্রতিবেশীকে পই পই করে জিজ্ঞেস করেও হদিশ পাওয়া গেল না তিন দিনে।


এত কিছুর পরেও পোষ্যের খোঁজ না মেলায় বাড়ির সকলের বেজায় মন খারাপ। এমন সময়ে সকলকে চমকে দিয়ে তিনি বেল দিলেন! ফিরে এসেছে আদরের পোষ্য। সক্কলে আহ্লাদে আটখানা। দুলকি চালে সে ঢুকে পড়ল বাড়ির মধ্যে। কিন্তু বাড়ির লোকেদের ততক্ষণে চক্ষু চড়কগাছ। গলায় ঝুলছে দেনার নোটিস! ঠাহর করে পড়তেই গোটা বিষয়টি জলের মতো স্পষ্ট হয়ে গেল। নোটিসে লেখা রয়েছে, তোমার বিড়ালটা জুল জুল করে আমার দোকানের ম্যাকরেলগুলির দিকে তাকিয়ে ছিল। তিনটে দিয়েছি ওকে। আন্টি মে ২ নম্বর গলি।

চিরকুটে রয়েছে আন্টির মের ফোন নম্বর। পাশে আবার ইমোজি।



তাইল্যান্ডের এই ঘটনার কথা আবার ফলাও করে বেরিয়েছে একটি খবরের ওয়েবসাইটে। আদরের পোষ্যের ফেসবুক পোস্টের ছবিও সামনে এসেছে। বিড়ালটির মুখ দেখে অবশ্য অনুতপ্ত বলে মোটেই মনে হচ্ছে না। নিজের রাশভারী মেজাজ নিয়ে ঘোরাফেরা করছে সে। নেটিজেনরা আবার তাকে নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত। কমেন্ট সেকশনে চোখ রাখলেই টের পাবেন আদরের পোষ্য নিয়ে চর্চার বহর।

কেউ লিখেছেন, হিলারিয়াস! আপনার বিড়াল নিরাপদে বাড়ি ফিরে এসেছে এটাই অনেক।

এক নেটিজেনের মন্তব্য ওমা, কি মিষ্টি...ওকে অনেক ভালোবাসা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ আবার লিখেছেন খুব কিউট বিড়াল, আমি দেখতে চাই ও কীভাবে মাছ পায়।

এখানেই শেষ নয়, কেউ আবার ম্যাকরেলের দাম মিটিয়ে বিড়ালকে দেনা-মুক্ত করতে চেয়েছেন।

যাকে নিয়ে এত তোলপাড়, সোশ্যাল মিডিয়ায় কমেন্টের ঝড় সে কিন্তু এ সব নিয়ে মাথাই ঘামাচ্ছে না! সত্যিই তো বিড়াল হয়ে কি ম্যাকরেলের দিকে জুল জুল করে না তাকিয়ে পারা যায়! তাঁর জন্য মালিকের গাঁটের কড়ি গেলই না হয়!