বেঙ্গালুরু: নির্ভুলভাবে ইসরোর ‘চন্দ্রযান-২’ এগোচ্ছে চাঁদের দিকে। পূর্ব পরিকল্পনামতো ক্রমেই বাড়ানো হচ্ছে পৃথিবীকে ঘিরে চন্দ্রযানের কক্ষপথের পরিধি। শুক্রবার, মহাকাশযানে দ্বিতীয় ‘ম্যানুভারিং’ করে তার কক্ষপথের পরিধি বাড়ানো হল।
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)-র তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার গভীর রাত ১টা ৮ মিনিট নাগাদ মহাকাশযানের অন-বোর্ড প্রোপালসন সিস্টেমকে ব্যবহার করে পৃথিবী-অভিমূখী কক্ষপথে প্রায় ১৫ মিনিটের জন্য ওই ‘ম্যানুভারিং’ করা হয়। এর ফলে, এখন চন্দ্রযানের থেকে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের দূরত্ব (পেরিজি) হল ২৫১ কিলোমিটার এবং সর্বাধিক দূরত্ব (অ্যাপোজি) হল ৫৪,৮২৯ কিলোমিটার।
প্রসঙ্গত, উৎক্ষেপণের দিন এই দূরত্ব যথাক্রমে ছিল ১৭০ কিলোমিটার ও ৪৫,৪৭৫ কিলোমিটার। গত বুধবার, প্রথম ‘ম্যানুভারিং’-এর পর তা বেড়ে গিয়ে হয় ২৩০ x ৪৫,১৬৩ কিলোমিটার।





এদিন ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, একেবারে নির্ভুলভাবে পরিকল্পনামাফিক কাজ করছে ‘চন্দ্রযান-২’। আরও তিনদিন পর, অর্থাৎ ২৯ জুলাই, তৃতীয়বারের জন্য বাড়ানো হবে চন্দ্রযান টু-এর কক্ষপথের পরিধি। ইসরো সূত্রে জানা গিয়েছে, এধরনের মোট ১৫টি ‘ম্যানুভারিং’ প্রক্রিয়া চালানো হবে। সবশেষে কক্ষপথের পরিধি বেড়ে দাঁড়াবে ২৩৩ x ১৪৩,৯৫৩ কিলোমিটার।
১৪ অগাস্ট পৃথিবী-অভিমুখ ছেড়ে ‘চন্দ্রযান-২’ পৌঁছে যাবে ‘ট্রান্স লুনার ইসার্টসন’ কক্ষপথে। এরও আরও এক সপ্তাহ পর, অর্থাৎ, ২০ অগাস্ট নাগাদ চাঁদের কক্ষপথে স্থাপন করা হবে চন্দ্রযান টু-কে। তবে তার আগে চন্দ্রযানের নিজস্ব থ্রাস্ট (রেট্রো) রকেটের সাহায্য নিতে হবে মহাকাশযানকে। ১৪ অগাস্টে পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে চাঁদের দিকে ঠেলা হবে চন্দ্রযান টু-কে।
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের মাটি ছোঁবার চেষ্টা করবে ‘চন্দ্রযান-২’-এর মধ্যে থাকা ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। সেখান থেকে বেরিয়ে আসবে রোভার ‘প্রজ্ঞান’। যা চাঁদের বুকে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নীরিক্ষা চালাবে।