নয়াদিল্লি: দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত চারজনের অন্যতম, মুকেশ সিংহ সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে প্রাণভিক্ষা করে চিঠি পাঠাল। জেল কর্তৃপক্ষকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই। কিউরেটিভ পিটিশন নাকচ হওয়ায় তিহার জেলে ২২ জানুয়ারি সকাল সাতটায় মুকেশ, তার তিন সহযোগীর ফাঁসি একপ্রকার নিশ্চিত। বাকিরা হল বিনয় শর্মা, অক্ষয় কুমার সিংহ ও পবন গুপ্তা। বিচারপতি এন ভি রামান্নার নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে মৃত্যুদণ্ডের সাজার বিরুদ্ধে মুকেশ ও বিনয়ের কিউরেটিভ পিটিশন বাতিল হওয়ার পরপরই দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালওয়াল ফাঁসি ওই ধর্ষণকারীদের বেলায় সামান্য শাস্তি বলে জানান। বেঞ্চের বাকি সদস্যরা হলেন বিচারপতি অরুণ মিশ্র, বিচারপতি আর এফ নরিম্যান, বিচারপতি আর ভানুমতি ও বিচারপতি অশোক ভূষণ।
দিল্লির এক আদালত চারজনের ফাঁসির দিন চূড়ান্ত করার পর বিনয় ও মুকেশ কিউরেটিভ পিটিশন দিয়েছিল। কিন্তু বাকি দুজন দেয়নি।
আইনজীবী এ পি সিংহের মাধ্যমে পেশ করা আবেদনে বিনয় সওয়াল করেছিল, তার অল্প বয়স, কিন্তু ‘সেটা বিবেচনায় রাখার বিষয়টি ভুল করে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে’। আরেক দোষী অক্ষয় মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত করে দেওয়া তাদের আগের রায় খতিয়ে দেখার আবেদন জানিয়ে যে রিভিউ পিটিশন পেশ করেছিল, সেটিও সম্প্রতি খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট।
২৩ বছর বয়সি প্যারামেডিকেল ছাত্রীকে ২০১২র ১৬ ও ১৭ ডিসেম্বরের মাঝের রাতে ৬ জন চলন্ত বাসে ধর্ষণ, চরম নির্যাতনের পর রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে। সিঙ্গাপুরের এক হাসপাতালে দিনকয়েক বাদে লড়াই চালিয়ে মারা যায় মেয়েটি।
২০১৩র সেপ্টেম্বর এক ফাস্ট ট্রাক আদালত ৪ জনকে গণধর্ষণ, অস্বাভাবিক যৌন নিগ্রহ, খুন, মেয়েটির পুরুষ সহযোগীকে খুনের চেষ্টা সহ ১৩টি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে। পঞ্চম অভিযুক্ত রাম তিহারে নিজের সেলে গলায় দড়ি দেয়, ষষ্ঠ অভিযুক্তকে ঘটনার সময় নাবালক ছিল, এই যুক্তিতে সংশোধন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।