নয়াদিল্লি: মহম্মদ আলি জিন্নাহর ছবি পাকিস্তানে পাঠানোই তাঁর ‘প্রথম কাজ’ হবে বলে জানালেন উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের নবনির্বাচিত বিজেপি সাংসদ সতীশ কুমার গৌতম। সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে জয়জয়কার বিজেপির। প্রবল মোদি হাওয়ায় ভর করে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে কেন্দ্রে ক্ষমতায় বহাল থাকছে বিজেপি-এনডিএ। জোটের প্রাপ্ত আসনসংখ্যা ৩৫২। এক উত্তরপ্রদেশেই অখিলেশ-মায়াবতীর মহাগঠবন্ধনকে ধুয়েমুছে সাফ করে ৮০টি লোকসভা কেন্দ্রের ৬৪টিই পেয়েছে বিজেপি। বুয়া-ভাতিজার জোট পেয়েছে মাত্র ১৫টি আসন।
এই প্রেক্ষাপটেই দলের আলিগড়ের এমপি সংবাদ সংস্থাকে বলেন, আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি তালাবন্দি ঘরে থাকা জিন্নার প্রতিকৃতি পাকিস্তানে পাঠানোই হবে আমার প্রথম অগ্রাধিকার।
গত বছর কেন জিন্নার ছবি এএমইউয়ের ছাত্র সংসদের ঘরে থাকবে, প্রশ্ন তুলে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন গৌতম। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যা চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন উপাচার্য্য তারিক মনসুরকে। তবে গৌতম জিন্নার ছবি রাখা নিয়ে আপত্তি তুললেও কর্তৃপক্ষ তা খারিজ করে জানিয়ে দেয়, জিন্না ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় কোর্টের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এবং তাঁকে ছাত্র সংসদের আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হয়েছিল। জিন্নার ওই ছবি নাকি বেশ কয়েক দশক ধরেই টাঙানো আছে ছাত্র সংসদের অফিসে।
গত বছরের অক্টোবরে নতুন করে বিতর্ক হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে গাঁধী জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানের অঙ্গ হিসাবে জিন্নার ছবির প্রদর্শনীকে কেন্দ্র করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছবিটি দেখানোর জন্য সেখানকার গ্রন্থাগারিককে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়।