মহেশের বাড়ি যিনি কাজ করতেন, ২ দিন বারবার বেল বাজিয়েও কোনও সাড়া না পাওয়ায় তিনি পুলিশে খবর দেন। জানা গিয়েছে, দেহের পাশ থেকে মদের গ্লাস পাওয়া গিয়েছে, তবে সুইসাইড নোট বা সে ধরনের কিছু পাওয়া যায়নি। পুলিশের দাবি, এটি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু।
তবে মহেশ আনন্দের মৃত্যুর কারণ এখনও পরিষ্কার নয়, জানা যাবে ময়না তদন্ত রিপোর্ট এলে। শোনা যাচ্ছে, শেষ কয়েক বছর একা হয়ে গিয়েছিলেন তিনি, ডুবে যাচ্ছিলেন হতাশায়। বলিউডের আর এক নামী ভিলেন শক্তি কপূর জানিয়েছেন, মহেশ দীর্ঘদিন ধরে কাজ পাচ্ছিলেন না, ফলে হতাশার জেরে ডুবে গিয়েছিলেন মদে। নেশার ঘোরে একে তাকে বাড়িতে ডাকতেন। পহলাজ নিহালনি ওঁকে নিজের ছবির ক্লাইম্যাক্সে একটি ছোট রোল দিয়েছিলেন, তাতে ভাল অভিনয় করেন তিনি। শক্তি জানিয়েছেন, পহলাজ চেষ্টা করেছিলেন মহেশকে মদের নেশা থেকে বার করে আনতে কিন্তু তিনি শোনেননি। শক্তি নিজেও এ ব্যাপারে তাঁকে অনুরোধ করেন।
ভিলেন হিসেবে নব্বইয়ের দশকে বলিউডের চেনা মুখ ছিলেন মহেশ। কুরুক্ষেত্র, কুলি নাম্বার ওয়ান, শাহেনশাহ, স্বর্গ, থানেদার-এর মত বহু ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন, সানি দেওল, গোবিন্দা, ধর্মেন্দ্রর মত অভিনেতার সঙ্গে। তাঁর শেষ ছবি পহলাজ নিহালনির রঙ্গিলা রাজা, এতে ছিলেন গোবিন্দা ও শক্তি কপূর। ১৮ জানুয়ারি মুক্তি পায় ছবিটি।