নয়াদিল্লি: লালুপ্রসাদ যাদবের (Lalu Prasad Yadav) রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (আরজেডি) (Rashtriya Janata Dal) সঙ্গে মিশে গেল শরদ যাদবের (Sharad Yadav) লোকতান্ত্রিক জনতা দল (Loktantrik Janata Dal) (এলজেডি)। আজ দু’দলের মিশে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন শরদ যাদব। তাঁর দাবি, ‘এটা ঐক্যবদ্ধ বিরোধী জোট গড়ার প্রথম পদক্ষেপ।’


১৯৯৭ সালে আরজেডি প্রতিষ্ঠা করেন লালুপ্রসাদ। সেই সময় থেকেই তাঁর সঙ্গে শরদ যাদবের রাজনৈতিক মতপার্থক্য শুরু হয়। নীতীশ কুমারের (Nitish Kumar) সঙ্গে মিলে জনতা দল ইউনাইটেড (জেডিইউ) (JDU) প্রতিষ্ঠা করেন শরদ যাদব। অটলবিহারী বাজপেয়ীর সময় তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হন। লালুপ্রসাদ যাদবও ইউপিএ আমলে রেলমন্ত্রী হন। পরবর্তীকালে জেডিইউ-বিজেপি জোটের প্রতিবাদ করে নীতীশের সঙ্গ ছাড়েন শরদ যাদব। তিনি ২০১৮ সালে এলজেডি গঠন করেন। তবে নতুন দল তৈরি করলেও, এই দলের হয়ে কখনও নির্বাচনে লড়াই করেননি শরদ যাদব। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে তিনি আরজেডি প্রার্থী ছিলেন। মাধেপুরা কেন্দ্র থেকে তিনি হেরে যান। এবার লালুপ্রসাদের দলের সঙ্গে নিজের দলকে মিশিয়ে দিলেন শরদ যাদব।


এ বিষয়ে শরদ যাদব বলেছেন, ‘আমাদের দলের আরজেডি-র সঙ্গে  মিশে যাওয়া বিরোধী ঐক্য গড়ার প্রথম পদক্ষেপ। বিজেপি-কে হারাতে হলে সারা ভারতে বিরোধী দলগুলিকে এক হতেই হবে। এখন ঐক্যবদ্ধ হওয়ার উপরেই আমরা সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছি। ঐক্যবদ্ধ বিরোধীদের নেতৃত্বে কে থাকবেন, সেটা আমরা পরে ঠিক করব।’


ন’য়ের দশকে বিহারে ‘মণ্ডল রাজনীতি’-র সুবাদে উত্থান হয় লালুপ্রসাদের। তিনি মুখ্যমন্ত্রী হন। এরপরেই অবশ্য পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে তাঁর নাম জড়ায়। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তাতেও জাতীয় রাজনীতিতে আরজেডি প্রধানের যথেষ্ট গুরুত্ব ছিল। কিন্তু পশুখাদ্য দুর্নীতি মামলায় কারাদণ্ড হওয়ার পর থেকেই ধীরে ধীরে গুরুত্ব হারাতে থাকেন লালুপ্রসাদ। মাঝে বিহারে জেডিইউ, আরজেডি, কংগ্রেস জোট সরকারের সময় কিছুটা গুরুত্ব ফিরে পান লালুপ্রসাদ। তাঁর ছোট ছেলে তেজস্বী যাদব বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী হন। কিন্তু নীতীশ কুমার আচমকা সেই জোট ভেঙে এনডিএ-র সঙ্গে মিলে সরকার গড়ার পর ফের কোণঠাসা হয়ে পড়ে আরজেডি। এবার শরদ যাদব ও লালুপ্রসাদ একসঙ্গে মিলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন।