ইমরান গত ৪ মে ট্যুইটে মহীশূরের প্রাক্তন শাসকের গুণগান করে লেখেন, টিপু সুলতানকে শ্রদ্ধা করি কারণ দাসের জীবন কাটানোর চেয়ে তাঁর স্বাধীনতার আকাঙ্খাই প্রবল ছিল, সেজন্য তিনি লড়াই করে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এর প্রতিক্রিয়ায় তারুর লেখেন, ইমরান খান সম্পর্কে এটা ব্যক্তিগত ভাবে জানি যে, ভারতীয় উপমহাদেশের যে ইতিহাসের ভাগীদার আমরা সবাই, তাতে ওঁর আগ্রহ নিখাদ, সুদুরপ্রসারী। উনি পড়াশোনা করেন, খবরাখবর রাখেন। তবে এও বেদনার যে, ভারতের একজন মহান নায়ককে তাঁর পূণ্যতিথিতে মনে করালেন পাকিস্তানের এক নেতা।
তবে তারুরের আগেই ইমরানের অষ্টাদশ শতকের শাসক টিপুর বন্দনা ঘিরে বাকযুদ্ধ হয় কংগ্রেস, বিজেপির। বিজেপি সাংসদ রাজীব চন্দ্রশেখর কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়াকে ট্যাগ করে লেখেন, এবার আপনার ইমরানজি, বাজওয়াজিকে জড়িয়ে ধরার সময় এসেছে। রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধীর প্রিয়পাত্র হওয়ার সহজতম রাস্তা এটাই। এটাই করুন! সিদ্দারামাইয়া টিপুর প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলে তাঁকে এভাবে টার্গেট করলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে তিন বছর আগে কর্ণাটকে টিপু জয়ন্তী পালনের চল শুরু করেন সিদ্দারামাইয়াই।
চন্দ্রশেখরকে পাল্টা সিদ্দারামাইয়া কটাক্ষ করেন, ভেবেচিন্তে ট্যুইট করুন। আমি আপনার চোর নরেন্দ্র মোদির মতো নই যে, শত্রু দেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিরিয়ানি খাব। কর্তাদের খুশি করতে আপনার মতো নীতি বিসর্জন দিতেও পারি না। আপনার মতো প্রভুদের দাস হয়ে বেঁচে থাকা চেয়ে টিপু সুলতানের মতো জীবন অনেক ভাল। ২০১৭-য় লাহোরে তত্কালীন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বাড়িতে আচমকা পদার্পন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তাকেই বিঁধেছেন সিদ্দারামাইয়া।
টিপু জয়ন্তী পালনে আপত্তি তুলে বিজেপিও ফি বছর বিক্ষোভ কর্মসূচি নেয় কর্নাটকে। তাদের অভিযোগ, টিপু ‘গণহত্যা’ চালালেও তার নিন্দা করেনি, বরং উপেক্ষা করেছে কংগ্রেস।