লখনউ: এবার রাজনীতিতে পা রাখছেন অভিনেতা-রাজনীতিক শত্রুঘ্ন সিনহার স্ত্রী পুনম সিনহা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহের বিরুদ্ধে লখনউ কেন্দ্র থেকে লোকসভা ভোটে দাঁড়াবেন তিনি। তবে স্বামী কংগ্রেসে যোগ দিতে চললেও স্ত্রী লড়বেন সমাজবাদী পার্টির টিকিটে। তাঁকে সমর্থন দেবে বহুজন সমাজ পার্টি।


২০১৪-য় নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিজেপিতে কোণঠাসা হয়ে পড়েন শত্রুঘ্ন। নিজের অসন্তোষ গোপন রাখেননি তিনি, প্রকাশ্যেই বারবার নানা ইস্যুতে করেছেন মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার। এবার তাঁকে লোকসভা ভোটে টিকিট দেয়নি বিজেপি। শটগান সিনহা তাই তাঁর পুরনো বিহারের পটনা সাহিব কেন্দ্র ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কংগ্রেসের টিকিটে। ২৮ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু স্ত্রী সপা-র হয়ে ভোটে দাঁড়াতে চলায় জোট নিয়ে ব্যস্ততার জেরে তারিখটা পিছিয়ে গিয়েছে। ঠিক হয়েছে, তিনি কংগ্রেসে যোগ দেবেন ৬ এপ্রিল।

জানা গিয়েছে, কংগ্রেস নেতা জিতীন প্রসাদ এবার লখনউয়ে রাজনাথের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সপা সেখান থেকে বসপার সমর্থনে শত্রুঘ্ন পত্নীকে দাঁড় করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় জিতীনকে অনেক বুঝিয়ে তাঁর পুরনো কেন্দ্র ধাওরহারায় পাঠিয়ে দিয়েছে কংগ্রেস। একের বিরুদ্ধে এক প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য লখনউ আসনে প্রার্থী দিচ্ছে না তারা। পুনম যাতে রাজনাথকে নিজের কেন্দ্রে আটকে রাখতে পারেন, সে জন্য বিরোধী দলগুলির এই সিদ্ধান্ত।

সপা বলেছে, লখনউয়ে পুনমকে দাঁড় করানোর পিছনে তাদের ভোটের হিসেব পরিষ্কার। এই কেন্দ্রে ৪ লাখ কায়স্থ ও ১.৩ লাখ সিন্ধি ভোট রয়েছে, মুসলমান ভোট ৩.৫ লাখ। পুনম নিজে সিন্ধি, তাঁর স্বামী শত্রুঘ্ন কায়স্থ। এই তিন ধরনের ভোটারই তাঁকে ভোট দিতে পারেন বলে সপা আশা করছে। যদিও জাতপাতের এই হিসেবনিকেশ উড়িয়ে দিয়েছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, লখনউ বরাবরই বিজেপির গড়, এখানকার সাংসদ রাজনাথ এলাকার উন্নতিতে বহু কাজ করেছেন, তাঁর জনসংযোগও যথেষ্ট ভাল। বহিরাগত প্রার্থী এনে তাঁকে ধাক্কা দেওয়া যাবে না।

২০১৪-য় মোট ভোট ১০,০৬,৪৮৩ ভোটের ৫৫.৭ শতাংশ পেয়ে লখনউ জেতেন রাজনাথ। নিজের কেন্দ্রের ৫টি বিধানসভাই জিতে নেন তিনি।