নয়াদিল্লি: এমন অনেক পেশা রয়েছে, যেখানে মহিলাদের প্রবেশ নৈব নৈব চঃ। সেখানে পুরুষদেরই একাধিপত্য। সচরাচর যা চলে তা ভেঙে ফেলার সাহস দেখিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের দুই বোন। আর তাঁদের কথা জেনে উত্সাহিত স্বয়ং ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন ব্যাটিং স্তম্ভ সচিন তেন্ডুলকর। আসলে বানোয়ারি টোলা গ্রামের দুই বোন নেহা ও জ্যোতি এমন একটা পেশা অবলম্বন করেছিলেন, যেখানে পুরুষদেরই দাপট। এই পেশায় হয়ত আসা হত না তাঁদের। কিন্তু বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ায় সংসারের হাল ধরতে হয়েছিল নেহা ও জ্যোতিকে। বাবা একটি সেলুনের মালিক ছিলেন। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বাবার সেলুনে কাঁচি, ক্ষুর ধরতে হয়েছিল দুই বোনকে। শুরুটা একেবারেই সহজ ছিল না তাঁদের কাছে। পুরুষরা কোনও মেয়ের হাতে দাড়ি বা চুল কাটবেন না, এমন একটা আশঙ্কায় তাঁরা পুরুষের বেশেই কাজ করতেন।
একটি বিজ্ঞাপনে তাঁদের উদ্বুদ্ধকর কাহিনী দেখেন সচিন। আর তারপরই বাবার সেলুনের হাল ধরা দুই বোনের কাছে পৌঁছে যান বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। দুই বোনের হাতে শেভও করলেন। আর সেই ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করলেন মাস্টার-ব্লাস্টার।
ক্রিকেট মাঠে এমন অনেক রেকর্ড গড়েছেন সচিন, যেখানে তিনিই প্রথম। এবার নিজেরই একটা রেকর্ড ভাঙলেন তিনি। ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করে লিখলেন, আপনারা হয়ত জানেন না, আমি এর আগে অন্য কারুর কাছে শেভ করিনি। সেই রেকর্ড ভেঙে গেল। এই ‘বার্বার শপ গার্লস’-দের সঙ্গে দেখা হওয়াটা সম্মানের ব্যাপার।



এভাবেই ছক ভাঙা দুই তরুণীকে কুর্ণিশ জানালেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট একশটি শতরানের মালিক। তাঁদের পড়াশোনা ও পেশাগত ব্যয় সঙ্কুলানের জন্য একটি স্কলারশিপও নেহা ও জ্যোতির হাতে তুলে দিলেন সচিন।