মুম্বই: বিজেপির সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে তীব্র সংঘাতের মধ্যেই আদিত্য ঠাকরের নেতৃত্বে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগত্ সিংহ কোশিয়ারির কাছে গেল শিবসেনা বিধায়কদের এক প্রতিনিধিদল। কী নিয়ে তাঁদের কথা হয়েছে, তা পরিষ্কার নয়, তবে শিবসেনার এক নেতার দাবি, অসময়ের বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের দ্রুত আর্থিক সহায়তার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এদিনই শিবসেনা পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত হওয়া একনাথ শিন্ডেও ওই দলে ছিলেন।
এদিকে শিবসেনা ফের জানিয়েছে, তারা এখনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবি ছাড়েনি। বলেছে, ক্ষমতা সমান ভাগে বন্টনের প্রসঙ্গ উঠলে মুখ্যমন্ত্রী পদও ভাগ করা উচিত। বিজেপি শরিকের প্রতি আচরণের বেলায় ‘কাজে লাগিয়ে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া’র কৌশল নিয়েছে বলেও অভিযোগ করে তারা। এমনকী শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে এও জানিয়েছেন যে, তাঁরা বিরোধী কংগ্রেস, শিবসেনার সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছেন। অর্থাত বিজেপিকে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাইছেন তিনি। একনাথ শিন্ডে পরিষদীয় নেতা নির্বাচিত হওয়ার পরই উদ্ধব শিবসেনা বিধায়কদের বলেন, দল মুখ্যমন্ত্রী পদ চাই, এই দাবিতে অটল রয়েছে। উদ্ধব জানান, শিবসেনা জোট শরিকদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না বটে, তবে বিজেপিকে প্রথমে ‘আপনারা যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পালন করতে হবে’।
এর মধ্যেই সন্ধ্যায় মুম্বইয়ে এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের সঙ্গে দেখা করেন শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। তবে কি সরকার গড়তে সত্যিই উদ্ধবের দল বিকল্প রাস্তা খুঁজতে শুরু করল? বৈঠকের পর রাউত সাংবাদিকদের জানান, এটা সৌজন্য সাক্ষাত্কার, তবে রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে তাঁদের।
৫০-৫০ ফর্মূলা মেনে শিবসেনার দাবি, আড়াই বছর করে মুখ্যমন্ত্রী পদ বন্টন করতে হবে দুই শরিকের মধ্যে। বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ, মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফঢ়নবিশ, উদ্ধব ঠাকরের আলোচনায় এমনই স্থির হয়েছিল বলে দাবি করেছে শিবসেনা। যদিও বিজেপি এটা মানতে নারাজ। ফঢ়নবিশ এমন কোনও বোঝাপড়া চূড়ান্ত হওয়ার কথা পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, শিবসেনা এমন প্রস্তাব দিয়েছিল, কিন্তু বিজেপি রাজি হয়নি।