মুম্বই: প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ে নেই, রাহুল গাঁধী লন্ডনে এ কথা জানিয়ে দেওয়ায় তিনি ‘খুশি’ বলে জানালেন শরদ পাওয়ার। কে আগামীদিনে প্রধানমন্ত্রী হবেন, সে ব্যাপারে এনসিপি সভাপতির বক্তব্য, আগে নির্বাচন হোক, বিজেপির লোকগুলিকে ক্ষমতা থেকে সরাই। তারপর আমরা একসঙ্গে বসব। আমাদের মধ্যে যে দল সবচেয়ে বেশি আসন পাবে, তারাই প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার হবে। মু্ম্বইয়ে এক দলীয় বৈঠকে ৭৮ বছর বয়সি শারদ এ কথা বলেন।
১৯৭৭ ও ২০০৪-এর মতো রাজ্যস্তরে বিজেপি-বিরোধী দলগুলির জোট গড়ে, ভোটের ফল বেরনোর পর প্রধানমন্ত্রী স্থির করার প্রস্তাব দেন শরদ।
পাশাপাশি তিনিও ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ ঘিরে উদ্বেগ প্রকাশ করে আগামী নির্বাচনে ব্যালটপত্রে ভোটগ্রহণের দাবি জানান।
আগামী ১ থেকে দুসপ্তাহে কংগ্রেসের অশোক চহ্বান ও এনসিপি-র প্রফুল্ল পটেল ও জয়ন্ত পাতিল দুদলের আসন সমঝোতার ব্যাপারে বৈঠক করবেন বলে জানান শারদ।
শারদ আজ স্মরণ করেন, ১৯৭৭ ও ২০০৪-এ কীভাবে ক্ষমতাসীন দলকে হঠাতে ভোটের পর হাত মিলিয়েছিল নানা দল। বলেন, ১৯৭৭-এ কংগ্রেস ভোটে হারে, অ-কংগ্রেসি দলগুলি মোরারজী দেশাইয়ের নেতৃত্বে জোট বেঁধে সরকার গড়ে। ২০০৪-এও কোনও একটি অ-বিজেপি দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। কোনও নেতা বা দলকে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য সামনে তুলে ধরা হয়নি। বিজেপি সেবার বিরাট ইন্ডিয়া শাইনিং প্রচার করেও হেরে গিয়েছিল। একইভাবে নরেন্দ্র মোদীও এখন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু এতে দুর্ভাবনার কিছু নেই। সাধারণ মানুষ অনেক বেশি সচেতন, আমাদের চেয়েও বেশি বুদ্ধিমান।
তিনি রাজ্যে রাজ্যে গিয়ে যেসব দল বিজেপির সঙ্গে নেই, তাদের বিরোধী জোটে সামিল করার চেষ্টা করবেন বলেও জানান শারদ। তিনি জানান, কংগ্রেস গুজরাত, মধ্যপ্রদেশে শক্তিশালী। উত্তরপ্রদেশে যেমন শক্তিশালী মায়াবতীর বিএসপি, অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি। বলেন, রাজ্যে রাজ্যে পরিস্থিতি ভিন্ন। তাই যে রাজ্যে যে দলগুলি শক্তিশালী, তাদের সঙ্গে নিতে হবে।