নয়াদিল্লি: হাথরাসে তরুণীর গণধর্ষণ ও মৃত্যু নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ‘নীরবতা’কে কটাক্ষ অধীর চৌধুরির। লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন, ওনার দ্বিচারিতা প্রকট হয়ে পড়েছে, উনি ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’ স্লোগান ছেড়ে বরং ‘শাট আপ ইন্ডিয়া, হাস আপ ইন্ডিয়া’-এই নতুন স্লোগান চালু করুন। বিস্ময়ের সুরে অধীর বলেন, কেন প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশের হাথরাসে গণধর্ষণের জেরে ১৯ বছরের মেয়ের মৃত্যুর অভিযোগ সম্পর্কে একেবারে চুপ করে রয়েছেন, যখন স্থানীয় থেকে শুরু করে দুনিয়ার প্রতিটি ইস্যুতে উনি সরব হয়ে ওঠেন!
পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতিও অধীর। হাথরাসের ঘটনা নিয়ে কংগ্রেসে শীর্ষ নেতৃত্ব রাস্তায় নেমেছে। প্রশাসনের বাধা পেরিয়ে হাথরাসের মেয়েটির গ্রামে পা রেখেছেন রাহুল গাঁধী, প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। সেসময় অধীর ট্যুইট করেছেন, মোদিজি স্থানীয় থেকে বিশ্ব, প্রতিটি বিষয়ে মুখ খোলেন, কিন্তু হাথরাসের হৃদয়বিদারক ঘটনা সম্পর্কে এখনও চুপ করে আছেন। কী হল আপনার মোদিজি? কোথায় গেল আপনার ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ,সব কা বিশ্বাস’? হাথরাসের পর আপনার দ্বিচারিতা উন্মোচিত হয়ে পড়ল! আপনি বরং নতুন স্লোগান দিন, শাট আপ ইন্ডিয়া, হাস আপ ইন্ডিয়া (চুপ করে থাক ভারত, আড়াল করে রাখ, চেপে যাও ভারত)।


প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে হাথরাসের গণধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলে মুখ্যমন্ত্রী আদিত্য়নাথকে ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তার বাইরে প্রকাশ্যে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
প্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকেও সোমবার দলের রাজ্য দপ্তরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করেন কংগ্রেস কর্মীরা।
হাথরাসের মেয়েটিকে গত ১৪ সেপ্টেম্বর চারজন মিলে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। তাকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে স্পাইনাল কর্ডের চোট, প্যারালাইসিস ও জিভ কাটা অবস্থায় রেফার করা হয়। গত সপ্তাহের মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয় সেখানে। তারপর গভীর রাতে পরিবারের হাতে তুলে না দিয়ে জোর করে মেয়েটির দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশকে।