তিনি আরও বলেন, মোদি সরকারের গত ১০০ দিনের মেয়াদে সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত হল সংবিধানের ৩৭০, ৩৫ এ অনুচ্ছেদ বাতিল ও জম্মু ও কাশ্মীর ভেঙে দুটি কেন্দ্রশাসিত এলাকা গঠন। তারপর ৩৫ দিন কেটেছে, হাতেগোনা কিছু ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার দিকে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের সিদ্ধান্তের গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হল, পাকিস্তান রাষ্ট্রপুঞ্জ সহ নানা দেশের দরজায় কড়া নেড়েছে, কিন্তু গোটা দুনিয়া ভারতের পাশেই দাঁড়িয়েছে।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত মোট অভ্যন্তরীণ উত্পাদন (জিডিপি) তথ্য অনুসারে বৃদ্ধির হার টানা ৫টি ত্রৈমাসিকে কমতে কমতে ৬ বছরে সবচেয়ে নিচে নেমে হয়েছে ৫ শতাংশ। কংগ্রেস সরকার সহ বিরোধী শিবিরের দাবি, অর্থনীতি বেহাল দশায়। মোদি সরকারই দায়ী। কিন্তু জাভরেকরের দাবি, বৃদ্ধির হারে সাম্প্রতিক পতন সাময়িক ব্যাপার। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী মন্দা ও তার প্রভাব পড়েছে দেশের বাজারে। কিন্তু নিয়ম বদলে সম্প্রতি যেসব সংস্কারমুখী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাতে আগামী দিনে বৃদ্ধি চাঙ্গা হবে, তা ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থনীতির টার্গেট পূরণে সাহায্য করবে।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪-য় ভারত ছিল ১১-তম সর্ববৃহত্ অর্থনীতি। ২০১৯-এ আমরা পঞ্চম সবচেয়ে বড় অর্থনীতি হয়েছি। এবার তৃতীয় বৃহত্তম ও ৫ ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতি হওয়ার লক্ষ্যে এগচ্ছি।
দেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) কমছে বলে দাবি করে বিরোধী শিবিরের উদ্বেগ দূর করতে জাভরেকরের পাল্টা দাবি, ২০১৮ সালে ভারত চিনের চেয়েএ বেশি এফডিআই পেয়েছে।
জিএসটি, আয়কর নিয়মবিধিতে বদলের মতো পদক্ষেপের মাধ্যমে ব্যবসা করার সহজ পরিবেশ তৈরির পাশাপাশি পরিকাঠামো ও সামাজিক কর্মসূচিতে ১০০ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনা সহ একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন জাভরেকর। বলেন, এগুলিই ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থনীতি তৈরির ভিত গড়ে দেবে। আরও বলেন, এইসব ব্যবস্থা কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের গতি বাড়াবে।
১০টি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণ ঘটিয়ে ৪টি তৈরির সিদ্ধান্তকেও ‘সঠিক লক্ষ্যে ঠিকঠাক পদক্ষেপ’ বলে ব্যাখ্যা করেন জাভরেকর। বলেন, এতে সাফল্য আসবে।