কলকাতা: মন্ত্রী পদ কেড়েছে দল। আর মেয়র পদে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি নিজে। ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েনে গত কয়েকমাসে তৃণমূলের সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দূরত্ব ক্রমাগত বেড়েছে। কিন্তু, তৃণমূলের থেকে পুরোপুরি দূরে সরে কি এবার বিজেপির কাছাকাছি যাচ্ছেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র?
জল্পনা আরও বাড়ছে বিজেপি নেতাদের মন্তব্যে। দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ বলেন, আসতে চাইলে বিজেপি ওয়েলকাম করবে। বিজেপির দরজা খোলা। প্রবেশ তো করবেই। কখন করবেন সেটাই দেখার।
বিশেষ সম্পর্ক ও পারিবারিক কলহের কারণে গত কয়েকমাসে বারবার শিরোনামে এসেছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এই প্রেক্ষাপটে শোভনকে দলে টানতে তৎপর হয়েছেন বিজেপি নেতাদের একাংশ। সূত্রের দাবি, বিজেপির এক শীর্ষনেতার প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয়েছে শোভন ও বৈশাখীর।
এমনকী, লোকসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিলে সেখানে তাঁর ভূমিকা কী হবে, তা নিয়েও দু’পক্ষের আলোচনা হয়েছে।  রাজনীতির পোক্ত খেলোয়াড় শোভন নিজে এ বিষয়ে কিছু খোলসা করতে না চাইলেও, পাশে বসে থাকা তাঁর বান্ধবী বৈশাখী কিন্তু বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যই করছেন।
তিনি বলেছেন, আমার সঙ্গে তো কথা হতেই পারে। রাজনৈতিক নাও হতে পারে। কথা হয়নি, না হয়নি কোনওটাই বলছি না। তিনি যোগ করেন, দেখুন না, আগামী দিন বলে দেবে। যা করব, একসঙ্গে করব।
একসময় উঠতে বসতে শোভনকে আক্রমণ করলেও, এখন বিজেপি নেতাদের গলায় কোথাও যেন তাঁর প্রতি সহমর্মিতার সুর। রাহুল সিংহ বলেন, তৃণমূলে ভবিষ্যৎ নেই। মমতার কাজ হল দরকারের সময় রক্ত চুষে নেওয়া। শোভনের ক্ষেত্রে সেটা হয়েছে।
কয়েকদিনের মধ্যেই লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যাবে। তার আগে কি শোভন-বৈশাখীর রাজনৈতিক ভবিষ্যত স্পষ্ট হয়ে যাবে?