কলকাতা: ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়েছে বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের। অনুগামীরা দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন প্রিয় অভিনেতার। চিকিৎসার জন্য তিনি বিদেশে যাবেন বলে  জানা গিয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জেনে নেওয়া যাক ফুসফুসের ক্যান্সার সম্পর্কে কিছু তথ্য।

ফুসফুসের ক্যান্সার দুই ধরনের।

নন-স্মল সেল লাং ক্যান্সার ও স্মল সেল লাং ক্যান্সার।

নন-স্মল সেল লাং ক্যান্সারের আবার দুটি ভাগ- অ্যাডিনো কার্সিনোমা ও স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা।

অন্যদিকে, স্মল সেল লাং ক্যান্সারের বৈশিষ্ট্য হল যে এর বৃদ্ধি ও ছড়িয়ে পড়ার হার খুব দ্রুত হয়।

লাং ক্যান্সারের রয়েছে চারটি পর্যায়-১,২,তএ-৩বি ও ৪।

প্রথম পর্যায়ে ক্যান্সার সীমাবদ্ধ থাকে ফুসফুসের ভেতরের অক্সিজেন আদানপ্রদানের জন্য নির্দিষ্ট কোষে।

দ্বিতীয় পর্যায়ে ওই ধরনের কোষ থেকে আরও একটু ছড়িয়ে গিয়ে ফুসফুসের ভেতরেই লিম্ম নোড অবধি পৌঁছে যায়। লিম্প নোড ফুসফুসের অক্সিজেন আদান-প্রদানের সহ কোষের  কার্যাবলীতে নজর রাখে।

তৃতীয় পর্যায় হল যখন ক্যান্সার ফুসফুসের একদিকে একাধিক লিম্প নোডে ছড়িয়ে পড়ে।

এই পর্যায়ের প্রথম ধাপে একটি ফুসফুস ছড়ায়। এরপরে পাশের ফুসফুসের দিকেও এগোতে থাকে।

স্টেজ-৪ হল যখন দুটো ফুসফুসেই ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ে।

ফুসফুস বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রঞ্জন দাস বলেছেন,  সাধারণত অধিকাংশ ক্ষেত্রে যখন ফুসফুস ক্যান্সার  চিহ্নিত হয়, ততক্ষণে রোগীর ফুসফুসে দ্বিতীয় পর্যায় থেকে তৃতীয় পর্যায় ক্যানসার ছড়িয়ে যায়।  এই সময় রোগীকে পুরোপুরি সারিয়ে তোলার কাজ খুবই কঠিন।
তবে আধুনিক চিকিৎসায় রোগীর কোয়ালিটি অফ লাইফ কিছুটা উন্নত করা যায়।

এনআরএস হাসপাতালের রেডিওথেরাপি বিভাগের প্রধান শ্রীকৃষ্ণ মন্ডল বলেছেন, এই ক্যান্সারের চিকিৎসার ব্যয় নির্ভর করছে কী ধরনের কেমোথেরাপি ও  রেডিও থেরাপি ব্যবহার করা হচ্ছে।
অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে কোষের কম ক্ষতি করে রেডিওথেরাপি  হয়।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারে খুব একটা সুবিধা হয় না। কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপির ওপরই নির্ভর করতে হয়।