কলকাতা: স্ট্র্যান্ড রোডের বহুতলে বিধ্বংসী আগুন। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছটা নাগাদ আগুন লাগে। স্ট্র্যান্ড রোডে বহুতলের ১৩ তলায় আগুন লেগেছে।
এই বহুতলেই রেলের অফিস। ঘটনাস্থলে দমকলের ৭টি ইঞ্জিন। স্ট্র্যান্ড রোডে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ। সন্ধে ৬.১০ নাগাদ আগুন লাগে বলে খবর। তবে বহুতলে কেউ আটকে নেই বলে অনুমান দমকলের। অগ্নিকাণ্ডের জেরে বাবুঘাট থেকে হাওড়া পর্যন্ত রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ।
১৩ তলায় আগুন লেগেছিল। তবে পরে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে নীচের তলাগুলোতেও। ১২ তলাতেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। অনেক দূর থেকেই আগুনের লেলিহান শিখা আর কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়। আগুন এই মুহূর্তে যেভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, দমকল কর্মীরা আগুনের উৎসে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন। তবে আগুনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রধান বাধা বহুতলের উচ্চতা। দমকলকর্মীরা হাইড্রলিক ল্যাডার নিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছেন।
প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে আগুন লাগল? প্রত্যক্ষদর্শী বা দুর্ঘটনার সময় ওই বহুতলে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের কাছে কোনও স্পষ্ট ব্যাখ্যা নেই। তবে আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়া মাত্র গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। অনেকেই রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন। হুড়োহুড়ি করে সকলকে ওই বহুতল থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। জানা গিয়েছে, বহুতলের ভেতরে কেউ আটকে নেই। দমকলকর্মীদের পাশাপাশি পৌঁছে গিয়েছেন বিপর্যয় মোকাবিলা দলের প্রতিনিধিরা।
আপাতত ভেতর দিয়ে আগুনের উৎসে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা। ১৩ তলা বিল্ডিংয়ের সবচেয়ে ওপরের তলেই লেগেছে আগুন। দমকল সূত্রে খবর, রেলের প্রচুর কাগজ ও নথিপত্রে আগুন লেগে থাকতে পারে। এবং সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বলে অনেকের আশঙ্কা। দমকলের এক কর্তা বলেছেন, ’১৩ তলার দুটো ঘরে আগুন লেগেছে। আমাদের দশটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছে। প্রথমে সাতটি ও পরে আরও তিনটি।’ অক্সিজেন মাস্ক পরে আগুনের উৎসে পৌঁছনোর চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা। আগুনকে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করার ব্যাপারে অবশ্য দমকলের আধিকারিকরা আত্মবিশ্বাসী। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।