পাশাপাশি রাজ্যে রাজ্যে আলাদা আলাদা টেস্টিং ফি-এর বিষয়টি বিবেচনা করে সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি কেন্দ্রকে স্থির করতে বলার পাশাপাশি এও বলেছে, সব রাজ্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি তৈরি করুক। ওই কমিটি হাসপাতালগুলি পর্যবেক্ষণ করে রোগীরা যাতে সঠিক চিকিত্সা পান, তা সুনিশ্চিত করবে।
বিচারপতি অশোক ভূষণ, বিচারপতি এস কে কাউল, বিচারপতি এমআর শাহকে নিয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চে শুনানির সময় বলেছে, সব রাজ্যেই পরীক্ষার খরচ একই হওয়া বাঞ্ছনীয়। কিন্তু এতে আদালত হস্তক্ষেপ করবে না, কেন্দ্রই যা করার করবে।
রোগীদের চিকিত্সা ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা, নজরে রাখতে হাসপাতালে সিসিটিভি বসানোর ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়ার বিষয়টি ভেবে দেখবে বলেও জানায় বেঞ্চ।
গত মে মাসে আইসিএমআর করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নির্ধারণে রিয়েলটাইম পলিমার্স চেইন রিঅ্য়াকশন (আরটি-পিসিআর) টেস্টের ৪৫০০ টাকা চার্জের ঊর্ধ্বসীমা তুলে নেয়, ফলে রাজ্যগুলি অনুমোদিত ল্যাবরেটরিগুলির সঙ্গে বোঝাপড়া করার, কোভিড-১৯ পরীক্ষার খরচ বেঁধে দেওয়ার পূর্ণ ক্ষমতা পায়।
এর মধ্যেই গত সপ্তাহে আচমকা কোভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া দিল্লিতে রোগীদের কিছুটা স্বস্তি দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক গঠিত একটি কমিটি রাজধানীর বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে আইসোলেশন বেড ও আইসিইউয়ে চিকিত্সার খরচ কমানোর সুপারিশ করে। গত সোমবার তেলঙ্গানা সরকারও বেসরকারি ল্যাবে কোভিড-১৯ সংক্রমণ টেস্ট ও প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিত্সার খরচের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেয়। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইতালা রাজেন্দর জানান, রাজ্যে আইসিএমআরের অনুমোদিত প্রাইভেট ল্যাবগুলি একবার কোভিড-১৯ টেস্টিংয়ের জন্য মাথাপিছু ২২০০ টাকার বেশি নিতে পারবে না।
এদিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্টমন্ত্রী অমিত শাহ গঠিত উচ্চ পর্যায়ের কমিটি সুপারিশ করেছে, দিল্লিতে যে কোনও হাসপাতালে কোভিড-১৯ আইসোলেশন বেডের খরচ হোক দৈনিক ৮০০০ থেকে ১০০০০ টাকা, আর ভেন্টিলেটর সমেত আইসিইউ বেডের খরচ হোক ১৫০০০ থেকে ১৮০০০ টাকার মধ্যে।